৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্বকেরও যত্ন নেয় ঢেঁড়শ? আর কী গুণ আছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
ঢেঁড়শ খেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। কিন্তু জানেন এর কত গুণ?

সব্জি খেতে পছন্দ করলেও ঢেঁড়শের নাম শুনলেই নাক সিঁটকোন অনেকে। বিশেষ করে গরমে বাজার ছেয়ে যায় ঢেঁড়সে। খেতে তেমন সুস্বাদু না হলেও ঢেঁড়শ কিন্তু শরীর অনেক যত্ন নেয়।

এমনকি, ভাল করে রান্না করলেও ঢেঁড়শের যেকোনও পদ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপাদেয় হয়ে ওঠে। গাজর, সিম, পালংশাক, কুমড়ো, বিটের মতো ঢেঁড়সও অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী একটি সব্জি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, ফলেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। ডায়াবিটিস, অ্যাস্থমা, অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করে ঢেঁড়শ।

ঢেঁড়শ আর কী ভাবে যত্ন নেয় শরীরের?

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়

ঢেঁড়শে থাকা ফাইবার পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাঁদের জন্য ঢেঁড়শ অত্যন্ত উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যে ছাড়াও বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ঢেঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস কোলন ক্যানসারের প্রবণতা কমায়।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে দারুণ সাহায্য করে ঢেঁড়শ। এই গরমে রোজের খাদ্যতালিকায় ঢেঁড়শ রাখতেই পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চোখের দৃষ্টি পরিষ্কার রাখে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

ঢেঁড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। পরিপাক ক্রিয়ার ভাল মন্দের উপর শরীরের ওজন নির্ভর করে। পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ত্বক ভাল রাখে

ঢেঁড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকরী ভিটামিন সি। ব্রণর সমস্যা কমায়, ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগছোপ কমায়, ত্বকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায় ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ঢেঁড়শ শরীরের পাশাপাশি যত্ন নেয় ত্বকেরও।

অতিরিক্ত শ্বেতস্রাব কমায়

শ্বেতস্রাবের সমস্যায় অল্পবিস্তর সব মহিলাই ভুগে থাকেন। মানসিক অশান্তি, গর্ভ-নিরোধক ওষুধ গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ইত্যাদি কারণে শ্বেত স্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঢেঁড়শে শ্বেসস্রাবের সমস্যা কম করতে পারে। এক লিটার জলের মধ্যে ২০০ গ্রাম ঢেঁড়শ সেদ্ধ করুন। জল ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে আসলে সেই জল পান করতে পারেন। সপ্তাহে দু’থেকে তিন বার এই জল খান। তবে শ্বেতস্রাবের সমস্যা বেশি হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!