২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের ১৪ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (১ মে) সন্ধ্যায় মামলাটি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের এমপি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

মামলায় জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহ ছাড়াও ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- মাওলানা আশরাফুল হোসেন তপু, বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিব, মমিনুল হাসান তাজ, সুলেমান মোল্লা, মাওলানা এনামুল হক মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মনজুরুল হক ও খালেদ মোশাররফ। এছাড়া অজ্ঞাত আরো এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণীতে এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। তারা তাণ্ডব চালিয়ে বৈধ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র, গান পাউডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করেন।

এর আগে হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে সাইবার সন্ত্রাস সংগঠিত করে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক, বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস দিয়ে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, মামলাটি নেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!