১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক আমের ওজন ৪ কেজি ২৪৫ গ্রাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
পৃথিবীর সবচেয়ে ওজনদার হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে ৪ কেজি ২৪৫ গ্রাম ওজনের এ আমটি।

রেকর্ডটি হয়েছে এ বছরের এপ্রিল মাসে। এর আগে সবচেয়ে বড় আমটি ফলেছিল ২০০৯ সালে, ফিলিপাইনে। সেটির ওজন ছিল ৩ কেজি ৪৩৫ গ্রাম।

নতুন রেকর্ডধারী এই আম ফলিয়েছেন কলম্বিয়ার দুই কৃষক রিনা মারিয়া ম্যারোকুইন- জার্মান অরল্যান্ডো নোভোয়া ব্যারেরা।বেশকিছু আমের পাশে রেকর্ডধারী আমটি রেখে এর চোখের পরিমাপ করে বোঝা যায় কত বড় সেটি! কলম্বিয়ায় সাধারণত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আম চাষ হয় না।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য মাপজোখ শেষে রিনা ও জার্মান সবাইকে নিয়ে কেটেকুটে আমটা আবার খেয়েছেনও। খেতেও নাকি বেশ সুস্বাদু ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চাষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ আম ৫০০০-৬০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

যেখানে বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত আমের দাম প্রতি কেজি জাতভেদে ৪০ থেকে ১০০ টাকাতেই পাওয়া যায়।

দামি এই আমটি বাংলাদেশের কোনো জাত নয়। আমটি জাপানি প্রজাতির বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এটি বিভিন্ন দেশে চাষ হচ্ছে। জাপানি ভাষায় আমটিকে বলা হয় ‘মিয়াজাকি’। বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বা ‘এগ অব দ্য সান’ নামেও পরিচিত। তবে বাংলায় এই আমটি পরিচিতি পেয়েছে “সূর্যডিম” নামে।

এই আমের গড়ন সাধারণ আমের চাইতে বড় ও লম্বা, স্বাদে মিষ্টি এবং আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনির মিশ্রণে একটি রঙের।

একেকটি আমের ওজন ৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রামের মতো বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। সে হিসেবে বাংলাদেশের বাজারে একেকটি আমের দামই পড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।মূলত চাহিদা মোতাবেক জোগান কম থাকা, মিষ্ট স্বাদ, ভিন্ন রং এবং চাষপদ্ধতির কারণে আমটির দাম এত বেশি।

সূর্যডিম আম সাধারণত মে মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখে পাকা শুরু হয় এবং জুনের ১৫ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া যায়।

চলতি বছর একটি লম্বা সময় খরা মৌসুম থাকায় এবার আম চলে আসে সময়ের আগেই।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!