কুমিল্লার বাজারে মৌসুমি ফলের ছড়াছড়ি
নিজস্ব প্রতিনিধি
টাটকা ফল, ফরমালিন মুক্ত ফল,‘গাছ পাকা ফল, গাছ পাকা ফল’ হাক ডাকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন কুমিল্লার নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার ফল ব্যবসায়ী মতি মিয়া দেশি আম, লিচু, জাম, জামরুল নিয়ে নগরীর পূবালী চত্ত্বের সামনে বসে ক্রেতাদের সাথে দামদর কষছেন। বি-বাড়িয়া থেকে লিচু আর চান্দিনা উপজেলার নিমসারবাজার থেকে আম এনে বিক্রি করছেন। ক্রেতারাও দামদর করে কিনছিল। কেউ আবার দেখে অন্য দোকানে ছুটছেন।মঙ্গলবার (০৮জুন) সকালে রাজগঞ্জ, চকবাজার, নিউমার্কেট, রানীরবাজার, বাদশা মিয়ার বাজার, পুলিশ লাইন, টমছমব্রিজ কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমি ফল সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। বৃষ্টিতে বাজারে কাঁঠালে চাহিদার ও ক্রেতা বেড়েছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে মৌসুমি ফলের।
এ বিষয়ে ফল বিক্রেতা চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, টানা গরমের পর নগরীতে বৃষ্টি হাওয়ার বেড়েছে মৌসুমী ফল বিক্রি । দেশি মৌসুমী ফলের পাশাপাশি অন্য জেলা থেকে ও আসতে শুরু করছে বিভিন্ন ধরনের দেশি ফল । বাজারে যেমন ফল আসছে, তেমনি ক্রেতাও আছে। তবে দাম একেক জায়গায় একেক রকম।
এদিকে দাম যেমনই হোক পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারাও খুশি মৌসুমি ফলের স্বাদ নিতে পেরে। ক্রেতাদেরও রয়েছে আগ্রহ। বিশেষ করে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ সবই এখন বাজারে বিদ্যমান। ক্রেতারাও তাই বেশ খুশি।
নগরীর ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পাকা কাঁঠাল ৪০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ১৫০ টাকা, প্রতিকেজি পাকা আম ৪০ টাকা থেকে জাতভেদে ১৬০ টাকা, প্রতি ১০০ পিস লিচু ২৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতিকেজি জাম ১৫০ টাকা, প্রতিটি তরমুজ আকার ভেদে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে আছে জামরুল আর তালশাসও।কথা হয় নগরীর ধর্মপুর এলাকার থেকে ফলের ক্রেতা আশিকুর রহমানের সঙ্গে। কাঁঠাল আর তরমুজ কেনার পর ঘুরছিলেন লিচুর বাজারে। কিন্তু লিচুর দাম বেশি হাওয়ার হতাশ প্রকাশ করেন তিনি । অন্যান্যবার প্রতিটি ফল কিছু সময় পরপর এলেও এবার আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ সবই এখন বাজারে। এটা বেশ ভালো।
মামুন সরকার নামের এক এনজিও কর্মী জানান,নগরীর বাজার গুলোর জেলার চান্দিনা উপজেলার নিমসার বাজারে দাম বেশ কম। তাই বেশকিছু ফল কিনেছি, আরও কিছু কেনার ইচ্ছে আছে। আর আশা করি সামনে আরও সরবরাহ বাড়বে এবং তখন ফলের দাম আরও কমবে।
এদিকে মৌসুমি ফলের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে। ফল বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে ফলের। তারপরও দাম কমেছে এবং সামনে আরও কমবে। ঈদের পর থেকে ক্রমেই ফলের সরবরাহ বাড়ছে। এছাড়াও দামও আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে।