১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় রাতে গ্রেফতারের ভয়ে নারী আসামীর পলায়ন,পরদিন পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়া গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত আসামীর মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের গল্লাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের খারকান দিঘির পাড় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিনা বেগম (৪০) ওই গ্রামের দিন মজুর নাছির উদ্দিন এর স্ত্রী।

জানা যায়, একই এলাকার এক ব্যক্তির সাথে টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলায় বিজ্ঞ আদালত নাছির উদ্দিন, তার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও মেয়ে তানজিনা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।

গত ১১ আগস্ট ওই গ্রেফতারী পরোয়ানা চান্দিনা থানায় আসলে পুলিশ ১৩ আগস্ট রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করতে ওই বাড়িতে যায়।

এসময় একই ঘরে থাকা নাছির এর স্ত্রী সেলিনা বেগম প্রাকৃতিক ডাকের কথা বলে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ খোঁজাখুজি করে সেলিনা বেগমকে না পেয়ে নাছির উদ্দিন ও তার মেয়ে তানজিনাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

পরদিন (রবিবার) সকালে এলাকার লোকজন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেলিনা বেগম এর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নাছির উদ্দিন জানান, রবিবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে ডাক দিলে আমি দরজা খুলি। তখন পুলিশ জানায় আমাদেরকে থানায় আসতে হবে, আমাদের নামে নাকি ওয়ারেন্ট আছে।

এসময় আমার স্ত্রী বাহিরে যাবে (প্রাকৃতিক ডাকে) বলে ঘরে ঢুকে। কিছুক্ষণ পর আর আমার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ চলে আসার পর মামলার বাদী পক্ষ আমার স্ত্রীকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিতে পারে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, আমাদের পুলিশ গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত আসামী আটক করতে যায়। কিন্তু ওই নারী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে পাওয়া হয়নি।

পরদিন সকালে ওই ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই নারীর বসত ঘরের পিছনে থাকা ওই পুকুরের পাড় অনেক উঁচু। হয়তো গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে পুকুরে পড়ে যেতে পারে। পুকুরের মধ্যে অনেক ঝোপঝাড় থাকায় উঠে আসাও সম্ভব হয়নি তার।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ কুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

এছাড়া ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!