পরীমনিসহ আরো অন্যদের ৬টি গাড়ি জব্দ
নিউজ ডেস্ক।।
চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ অন্যদের ৬টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। মাদক মামলার পাশাপাশি তাদের সম্পত্তির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এসব জানান।
এর আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় তাকে আটক করা হয়। পরে পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় শুনানির আদেশ শুনে আদালতে কেঁদে ফেলেন পরীমনি।
এদিকে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে শোবিজে পা রাখেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। নিজের চাহিদা মেটাতে নিজের ফ্ল্যাটে মিনিবার স্থাপন করেছিলেন।
তার বারে বিভিন্ন বিদেশি মদ ছিল। সেগুলো সরবরাহ করেছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক ব্যক্তির নাম জানিয়েছেন পরীমনি।
পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানান তিনি। পরে সিসিটিভির ফুটেজে পাওয়া যায় তার প্রমাণ। এছাড়া দেশি-বিদেশি একাধিক ব্যক্তির নামও বলেছেন পরীমনি। এমনটাই জানা গেছে সূত্রে।
এদিকে মাদক ও পর্নোগ্রাফি মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও সহযোগী সবুজ আলীকে ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে মাদক মামলায় দুই দিন, আর পর্নোগ্রাফি মামলায় চার দিন।
গত ৪ আগস্ট রাতে রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়াকে বনানীর বাসা থেকে মাদক ও সিসা সেবনের সরঞ্জামসহ আটক করে র্যাব। এছাড়া তাদের বাসা থেকে পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়। পরে ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া রাজের বিরুদ্ধে মাদক আইনেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওইদিনই তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত ফের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।