পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য
ধর্ম ও জীবন ডেস্ক।।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, “আল্লাহ আদেশ করছেন যে, তুমি আল্লাহ ব্যতীত আর কারও ইবাদত করো না এবং মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করো।
তোমার সম্মুখে তাদের কেউ অথবা উভয়ই যদি বৃদ্ধাবস্থায় পৌঁছেন তবে তাদের তোমার কথা দ্বারা কষ্ট দিয়ো না এবং তাদের ভর্ৎসনা করো না, তাদের সাথে সম্মান সূচক ব্যবহার করো এবং বলো, হে আমার আল্লাহ! তাদের প্রতি আপনি সদয় হউন যেরূপে তারা আমার শিশুকালে আমাকে প্রতিপালন করেছেন।” (সূরা বনি ইসরাঈল- ২৩)।
প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি পিতা-মাতার সন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত। (দুররে মানসূর)।
তিনি আরও বলেন- তিনটি দোয়া নিঃসন্দেহে কবুল হয়ে থাকে। জালিমদের প্রতি মজলুমদের বদ দোয়া, মুসাফিরদের দোয়া, সন্তানদের প্রতি পিতা-মাতার বদ দোয়া। (তিরমিযী শরীফ)।
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সাওয়াবের আশায় আপনার নিকট হিজরত করতে ও জিহাদের বাইআত হতে চাই।
তিনি বললেন, তোমার মাতা পিতার মধ্যে কেউ জীবিত আছেন কি? উত্তর করলেন, হ্যাঁ, দু’জনই জীবিত আছেন। তদুত্তরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি কি আল্লাহ তাআলার নিকট সাওয়াবের আশা রাখো? বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন- তাহলে তোমার মাতা-পিতার নিকট চলে যাও এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করো। (মুসলিম শরীফ)।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতেই আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি এবং পিতা-মাতার ক্রোধেই আল্লাহ তাআলার ক্রোধ।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- কোন নেক্কার সন্তান যদি তার পিতা-মাতার দিকে দয়ার দৃষ্টি দান করে আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টির পরিবর্তে তার আমল নামায় একটি সর্বাঙ্গ সুন্দর হজ্ব লিখে দেন।
সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! প্রতি দিন যদি ঐরূপ একশ’ বার দৃষ্টি করে? উত্তর বরলেন, হ্যাঁ, একশ’ বার দৃষ্টি করলে একশ’টি হজ্বের সাওয়াব লিখিত হবে। কারণ, আল্লাহ তাআলা মহান ও পবিত্র। (মিশকাত শরীফ)।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যদি কোন অবাধ্য সন্তানের পিতা-মাতা বা তাদের একজন ইন্তিকাল করেন, তবে যেন সে সর্বদা তার পিতা-মাতার জন্য দোয়া-ইস্তিগফার করে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নেক্কার বলে লিখিত হয়। (বাইহাক্বী শরীফ)।
তিনি আরও বলেন- যে ব্যক্তি প্রতি শুক্রবার তার পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে নেক্কার হিসেবে গ্রহণ করেন। (বাইহাক্বী শরীফ)। আরও বলেন- মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।
হযরত আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম সম্পর্ক বা দয়া, অনুগ্রহ এবং সদ্ব্যবহারের জন্য কে বেশী হকদার ও অগ্রগণ্য? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি বললেন, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি পুনরায় বললেন, তারপর কে? তিনি আবার বললেন- তোমার মা। লোকটি আবারও বললেন- তারপর কে? এবার তিনি বললেন, তোমার পিতা। তারপর তোমার নিকট আত্মীয়-স্বজন যে যতটুকু নিকটতম সে ততটুকু অগ্রগণ্য।
উলামায়ে কিরাম এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, অনুগ্রহ, দয়া ও সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেলায় মাতার হক তিনগুণ, পিতার হক এক গুণ।
কেননা, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার মায়ের কথা উল্লেখ করার পর চতুর্থ বারে পিতার কথা উল্লেখ করেছেন। এর কারণ হিসেবে উলামায়ে কিরাম বলেন, মা সন্তানের জন্য তিনটি বড় রকমের কষ্ট সহ্য করেন। যথা- গর্ভ ধারণ, প্রসব ও স্তন্য দান।
একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে মিম্বারের তিনটি ধাপে পরপর পা দেওয়ার সাথে সাথে তিন বারই বলেন ‘আমীন’। উপস্থিত সাহাবায়ে কিরাম রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এর ভেদ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম ধাপে পা রেখে আমীন বলার তাৎপর্য হল, জিব্রাঈল (আ.) আমার কানে কানে বললেন, যে ব্যক্তি সাবালক হওয়ার পর মাতা-পিতা উভয়কে অথবা তাদের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়ে তার সেবা করেনি, তাকে যে আল্লাহ তাআলা দোযখে নিক্ষেপ করবেন তার জন্য আমি আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে পারবো না। আমি ‘আমীন’ বলে তা স্বীকার করে নিয়েছি। দ্বিতীয় বার বলার তাৎপর্য হল, জিবরাঈল (আ.) বলেন, যে ব্যক্তি জীবনে বালেগ হওয়ার পর একবারও ফরয রোযা পেয়েছে অথচ তা আদায় করেনি (অবশ্য যে সব কারণে ফরয রোযা আদায় না করে পারা যায় সে কথা স্বতন্ত্র) তার জন্য আমি শেষ বিচারের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে পারবো না। আমি তা ‘আমীন’ বলে মেনে নিয়েছি। শেষ বার বলেন, আমার নাম শোনার পর যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার জন্যও আমি শেষ বিচারের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে পারবো না। এই তিন জনই অভিশপ্ত। তখনও বলি ‘আমীন’।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- যখন জিহাদের জয়লব্ধ দৌলত নিজস্ব সম্পদ বলে গৃহীত হবে, যখন যাকাত দেওয়া জরিমানা বলে বিবেচিত হবে, যখন শিক্ষা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে না হয়ে অন্য কিছুর জন্য হবে, যখন পুরুষরা স্ত্রীদের অনুগত হবে ও মাতা-পিতার নাফরমানী করবে, যখন মানুষ বন্ধুকে আপন করে নিবে অথচ পিতা-মাতাকে পর করে দিবে, যখন মসজিদে পার্থিব কথাবার্তা উচ্চ হতে থাকবে, যখন ফাসিকরা গোত্রের নেতৃত্ব করবে, যখন হীন প্রকৃতির লোকজন সমাজের নেতা বলে গণ্য হবে, যখন মানুষ কাউকে তার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সম্মান করবে, যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়বে, যখন মদ্য পান করা হবে এবং যখন এই জাতির পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দিবে তখন তোমরা অপেক্ষা করো ভীষণ ঝড়ের এবং ভূমি কম্পের ও ভূমিধ্বসের এবং রূপ পরিবর্তিত হওয়ার, পাথর বৃষ্টি এবং বিভিন্ন নিদর্শনের। যেমন মালার সুতা ছিঁড়ে গেলে দানাগুলো পরম্পরায় শীঘ্র খসে পড়ে। (তিরমিযী শরীফ)।
এতক্ষণ সম্মানিত পাঠক মহলের সমক্ষে মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য সম্বন্ধীয় পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বঙ্গানুবাদ তুলে ধরা হয়েছে। মাতা-পিতার ঋণ কেউ কোন দিন পরিশোধ করতে পারে না। পারবেও না। দুনিয়াতে যারা এতিম তারা উপলব্ধি করছে মাতা-পিতা কি জিনিস। শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সে থাকে কতই না অসহায়, সন্তান প্রসবের সময় মা ভোগ করে থাকেন মরণ জ্বালা। অনেক মা তো সন্তান প্রসবের সময় মারাও যান। সন্তান প্রসবের পর মা প্রসব জনিত সব জ্বালা ভুলে গিয়ে সন্তানের মুখ দেখে আত্মতৃপ্তি লাভ করে থাকেন। মা গর্ভধারণ করে প্রসবের পূর্ব পর্যন্ত যে কিরূপ জ্বালা ও দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে থাকেন তার কোন উদাহরণ নেই। চলাফেরা, আহার-নিদ্রা ইত্যাদিতে মা বিরামহীন কষ্ট ভোগ করেন। তিনি সাচ্ছন্দে একটু আরাম করতে পারেন না। এত কষ্টের পরও মা যখন সন্তানের মুখ দেখেন তখন সব দুঃখ-কষ্টের জ্বালা ভুলে যান।
মা নিজে অনাহারে থেকেও সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেন। মাঘ মাসের শীতের রাতে সন্তান বিছানা পায়খানা প্রস্রাব করে নষ্ট করে দেয়, ভিজিয়ে দেয়। মা তখন নিজে ভিজা জায়গায় থাকেন আর সন্তানকে রাখেন শুকনো জায়গায়। সন্তানের আরামের জন্য মা মাঘ মাসের শীতেও এরূপ দারুণ কষ্ট সয়ে যান। সন্তান যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তো মা আরাম, আহার, নিদ্রা সব কিছুই হারাম করে দেন। সারা রাত জেগে সন্তানের শিয়রে বসে কাটিয়ে দেন। সন্তানের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেন। সন্তানের মুখে হাসি ফুটে উঠলে আনন্দে মায়ের মুখেও হাসি ফুটে উঠে। বিপদে আপদে মা-ই হন সন্তানের সর্বোচ্চ নিরাপদ আশ্রয় স্থল। তাই তো বাংলার জনৈক কবি বলেছেন, বিদেশ বিভূঁয়ে যার বেটা মারা যায়, পাড়াপড়শী জানার আগে জানে দুঃখী মায়।
মুরগী বাচ্চা নিয়ে বের হয়। চিল, বাজ, কাক দ্বারা আক্রান্ত হলে অথবা কোন বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিলে মা মুরগীটি সঙ্কেত দেয়, সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাগুলো দৌড়ে এসে মায়ের পাখার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে। বাচ্চাগুলো মনে করে যত বিপদই হোক মায়ের পাখার নিচে গেলে সব নিরাপদ।
কথায় বলে, মায়ের এক নাল দুধের ঋণ কেউ কোন দিন শোধ করতে পারে না। সন্তান যখন বাইরে কোথাও যায় বা বিদেশে যাত্রা করে, মা তার পিছনে পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। যতক্ষণ পর্যন্ত দৃষ্টির আওতায় থাকে ততক্ষণ মা সে দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাই তো মাতৃ হারার যে কি দুঃখ তা মাতৃহারা ব্যতীত আর কেউ উপলব্ধি করতে পারে না।
পিতা-মাতার স্নেহ ও ভালবাসার কোন শেষ নেই। পিতা কত কষ্ট করে বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, ক্ষেতে খামারে কাজ করে, কঠোর পরিশ্রম করে, কেউ রিক্সা চালায়, এসবই তো করে থাকেন সন্তানের আহার যোগানোর জন্য, লেখাপড়ার খরচ যোগানোর জন্য, রোগের ঔষধ পথ্য যোগান, যোগান চিকিৎসা খরচ। এহেন শ্রদ্ধেয়, দরদী আপন জন হচ্ছেন মাতা-পিতা। তাদের মনে কষ্ট দিতে নেই। তাতে আল্লাহ তাআলার আরশ কেঁপে উঠে। তাদের সাথে এমন কোন আচরণ বা ব্যবহার করবে না যাতে তারা মনে সামান্যতমও ব্যথা পান।
জনৈক বুযুর্গ বলেছেন, মাতা-পিতার অভিশাপ রাইফেলের গুলির চেয়েও মারাত্মক ও কার্যকরী। সন্তানের জন্য মাতা-পিতার অভিশাপ যেমন আল্লাহর দরবারে সন্দেহাতীতভাবে কবুল হয়ে থাকে তেমনি সন্তানের জন্য নেক দোয়াও আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে থাকে। এ বিষয়ে নিম্নে একটি উদাহরণ দিয়ে এ প্রবন্ধের ছেদ টানবো ইনশাআল্লাহ।
ওলীকুল শিরোমণি হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রাহ্.)এর নাম কে না জানে? হযরত বায়েজিদ বোস্তামী বাল্যকালে (পারস্যের বোস্তাম শহরে তাঁর জন্ম বলে তিনি বোস্তামী নামে প্রসিদ্ধ। বোস্তাম শহরে তাঁর কবর আছে। চট্টগ্রামে তাঁর কবর নেই বা সেখানে তিনি কখনও আসেননি)। একদা গভীর রাতে জেগে পড়াশোনা করছিলেন। গৃহ মধ্যে তাঁর আম্মাজান নিদ্রামগ্ন। হঠাৎ তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেলে বায়েজিদকে ডেকে বললেন, বাবা বায়েজিদ, এক গ্লাস পানি দাও তো! বড় তেষ্টা পেয়েছে। বায়েজিদ কলসীর কাছে পানি আনতে গিয়ে দেখেন কলসীতে পানি নেই। প্রতিবেশী কারও বাড়ী থেকে যে পানি আনবেন, তাও এই রাতে- সম্ভব নয়। তিনি কাকে জাগাবেন, কাকে কষ্ট দিবেন। পানির ঝরণা রয়েছে অনেক দরে পাহাড়ে। গভীর রাতে তিনি কলসী নিয়ে চলে গেলেন সেই ঝরণা থেকে পানি আনতে। পাহাড় থেকে ঝরণার পানি নিয়ে ফিরে এসে দেখেন মা আবার গভীর নিদ্রায় মগ্ন।
ঘুম থেকে তাঁকে জাগিয়ে তুল্লে মায়ের কষ্ট হবে ভেবে তিনি কিংকর্তব্যবিমোঢ় হয়ে পড়লেন। এখন যদি তিনি ঘুমিয়ে পড়েন তখন মা ঘুম থেকে উঠে পানি চাইলে কে দিবে তাকে পানি! তাই বালক বায়েজিদ পানির গ্লাস হাতে নিয়ে মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকলেন। যখন মায়ের ঘুম ভাঙ্গবে তখন তাঁকে পানি দিবেন। সারা রাত আর মায়ের ঘুম ভাঙল না। ঘুম ভাঙল একেবারে প্রভাতকালে। ঘুম ভাঙলে তিনি দেখেন, বায়েজিদ তাঁর শিয়রে পানির গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তখন তাঁর সব কথা মনে পড়ল। হায়রে বাছা আমার! সারা রাত তুমি ঘুমোওনি! পানির গ্লাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছ? কত কষ্ট করে তুমি দাঁড়িয়ে আছ। তিনি স্নেহের আবেগে পুত্রকে জড়িয়ে ধরলেন বুকে।
দোয়া করলেন আল্লাহর কাছে প্রাণ ভরে। হে আল্লাহ! আমি আমার বায়েজিদকে তোমার কাছে সঁপে দিলাম। পরবর্তীকালে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় মায়ের দোয়ার বরকতে বায়েজিদ বোস্তামী বিশ্ববিখ্যাত ওলী হয়েছিলেন।