বিশ্ববাজারে কমল জ্বালানি তেলের দাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। জুলাই মাসে চীন ও জাপানে উৎপাদন কম হয়েছে, এমন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরই তেলের দাম কমল।
এদিকে চলতি সপ্তাহে বিশ্বের তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও অন্য বড় তেল উৎপাদনকারী দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিনিয়োগকারীরা।
বৈঠকে তেলের সরবরাহে সামঞ্জস্য আনা নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমল। রয়টার্স আজ সোমবার এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ১৯ ডলার বা ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে হয়েছে ১০২ দশমিক ৭৮ ডলার।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর প্রতি ব্যারেল এখন ৯৭ দশমিক ১৯ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৪৩ ডলার বা দেড় শতাংশ কমেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রুড তেল আমদানিকারক দেশ চীনে গত জুনে উৎপাদনের গতি বেড়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করায় জুলাইয়ে প্রত্যাশিত উৎপাদন হয়নি।
কেইক্সিং/মার্কিটের ম্যানুফ্যাকচারিং ম্যানেজারস ইনডেক্সে (পিএমআই) গত জুনে চীনের পয়েন্ট ছিল ৫১ দশমিক ৭। গত ১৩ মাসের মধ্যে জুনে উৎপাদন ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু জুলাইয়ে এ সূচকে চীনের পয়েন্ট ছিল ৫০ দশমিক ৪, যেটা ছিল প্রত্যাশিত পয়েন্টের চেয়েও অনেক কম।
এদিকে জাপানেও উৎপাদন কমেছে। আজ সোমবার প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, জাপানে গত ১০ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে সবচেয়ে কম উৎপাদন হয়েছে। আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিএমসি মার্কেটসের টিনা টেং বলেন, আজ তেলের দাম কমার প্রথম ও মূল কারণ চীনের উৎপাদন হতাশজনকভাবে কমে যাওয়া।
টিনা টেং বলেন, ‘তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম আশ্চর্যজনকভাবে সংকুচিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, লকডাউন থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম প্রত্যাশা অনুযায়ী ইতিবাচক না-ও হতে পারে। এতে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে।’