১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী শিক্ষক হলেও স্বামী পেশায় ডাকাত, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক।।
অস্ত্র-গুলিসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেফতার

ডাকাতি করে বনে গেছেন বিপুল সম্পত্তির মালিক। এছাড়া সামাজিক মর্যাদায় তাদের বাস উঁচু শ্রেণীতে। তাদের একজনের স্ত্রী শিক্ষকতার পেশায় জড়িত। একটি ডাকাত চক্রকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকা মহানগর, যশোর জেলা ও সাভার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের একটি গোয়েন্দা টিম।

এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশি রিভলবার, ৫০ রাউন্ড গুলি, দুটি মোটরসাইকেল ও লুণ্ঠিত এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- জলিল মোল্লা, রিয়াজ ও দিপু।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই ডাকাত দলের একটি গ্রুপ মতিঝিল মানি এক্সচেঞ্জ এলাকায় অবস্থান করতো। যেসব ব্যবসায়ী মানি এক্সচেঞ্জ হতে বের হতেন তাদের তারা টার্গেট করতো তারা। মোটরসাইকেলে অবস্থানকারী অন্য গ্রুপকে তারা এই তথ্য প্রদান করতো। এরপর ফাঁকা জায়গায় গেলে ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতো।

তিনি আরও বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি রাজধানীর অভিজাত ব্যক্তিদের টার্গেট করে ডাকাতি পরিচালনা করে থাকে। যে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে তারা দ্রুত পালানোর ব্যবস্থা করে রাখে। মোটরসাইকেল ব্যবহার করে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করতো।

আমরা তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছি। পুরো দলকেই ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।

গত ২৮ আগস্ট একজন ব্যবসায়ী মতিঝিল মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে গাড়িযোগে রওনা দিলে ছয়জন ডাকাত মোটরসাইকেলে তাকে অনুসরণ করে।

গাড়ি মৌচাক ফ্লাইওভারে উঠলে ডাকাত দল গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এরপর টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর ডাকাত চক্রটি আরও একটি ডাকাতি করে মতিঝিল এলাকা থেকে।

এক ব্যবসায়ী মতিঝিল এলাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছালে চক্রটি তার গতিরোধ করে৷ এসময় পথচারীরা প্রতিরোধ করলে ডাকাতরা দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে৷ এসময় তাদের গুলিতে এক পথচারী আহত হয়।

সংগঠিত দুইটি ঘটনায় রমনা থানায় দুইটি মামলা হয়। ডাকাতির মামলার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিজুল হকের তত্ত্বাবধানে ও উপ-পুলিশ কমিশনার মিশু বিশ্বাস পিপিএমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!