হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা সুন্নত
ধর্ম ও জীবন।।
সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকা, কোনো মুমিনের সঙ্গে দেখা হলে তার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখে সাক্ষাত করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এতে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়।
অনেক সমস্যার সমাধান একটি মুচকি হাসিতেই হয়ে যায়। অনেকে নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে মুখ গোমড়া করে রাখে, কেউ সালাম দিলে সালামের উত্তরটা দিতে চায় না, এটা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। মানুষের সাক্ষাতে মুখ গোমড়া করে রাখা ব্যক্তিত্ব দৃঢ় করে না, বরং মানুষের চোখে তার সম্মান আরো কমে যায়।
আমাদের নবীজি (সা.)-এর চেয়ে মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ আর কে হতে পারে? মহানবী (সা.) সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। কারো সঙ্গে সাক্ষাতে হাসিমুখে কথা বলতেন। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে (তাঁর কাছে আসতে) বাধা দেননি। আর আসুন্নতটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন। মাকে দেখা মাত্রই তিনি হাসতেন।’ (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ১৭১)
আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জাযয়ি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) সব সময় মুচকি হাসতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৪২)
একই বর্ণনাকারী অন্য একটি বর্ণনায় বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি।’ (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ১৬৮)
কারণ মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলাও সওয়াবের কাজ। এটাই ইসলামের সৌন্দর্য। মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে অন্য মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। আবু জার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘ভালো কোনো কিছু দান করাকে হীন মনে কোরো না, এমনকি হোক সেটা ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ দেওয়া।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৮৪)
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সাদকারূপে গণ্য। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে সহাস্য মুখে দেখা-সাক্ষাৎ করা এবং তোমার বালতির পানি দিয়ে তোমার ভাইয়ের পাত্র ভর্তি করে দেওয়াও ভালো কাজের অন্তর্ভুক্ত।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭০)
আমাদের উচিত, নবীজি (সা.)-এর সুন্নতটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।