২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে নাতনিকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত: কারাগারে নানাসহ ৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে নানা পরিচয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় ধর্ষক সিরাজসহ চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলায় ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম (৬০) সহ ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার সহযোগিতাকারী ধর্ষকের মেয়ে বকুল বেগম (২৮), ছেলের বৌ সীমা বেগম (২৮) ও ইসলামীয়া মর্ডান হাসপাতালের আয়া নাজমা বেগম (৪৫) কে জেল হাজাতে পাঠানো হয়।

এ ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।

পুলিশ ঘটনা জানার তিনঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে উপজেলার মেনাপুর গ্রাম থেকে আটক করে। এর আগে পুলিশ ছেলের বউ সীমা, মেয়ে বকুল ও হাজীগঞ্জ ইসলামীয়া মর্ডান হাসপাতালের আয়া নাজমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।পুলিশ জানায়, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে নানা পরিচয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও ছয় মাসের নবজাতককে পৌরসভার ডাস্টবিনে ফেলে দিলো ধর্ষকের ছেলের বউ ও মেয়ে। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়ান এলাকার।

বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ এলাকার একটি বাসায় ছয় মাসের নবজাতককে প্রসব করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়।

তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ দাই বাড়ী বাসিন্দা ছিলেন। পরে তিনি হাটিলা ইউনিয়নের হাড়িয়াইন আড়ং বাজারের পাশে একটি বাড়ী করেন। সেখানে তিনি বসবাস করে ঘটনার জন্ম দেয়। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক মহসিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি ওই স্কুলছাত্রীসহ বাসার সবাইকে থানায় নিয়ে যান।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জুবাইর সৈয়দ জানান, ধর্ষিতার মা তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

আটককৃত ধর্ষক হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ দাই বাড়ী বাসিন্দা ছিলেন। পরে তিনি হাটিলা ইউনিয়নের হাড়িয়াইন আড়ং বাজারের পাশে একটি বাড়ী করেন। সেখানে তিনি বসবাস করে ঘটনার জন্ম দেয়। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক মহসিন ঘটনাস্থলে যান।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!