দাঁড়িয়ে পানি খান? জেনে রাখা ভালো নিজের অজান্তে কী কী বিপদ ডেকে আনছেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
তৃষ্ণার্ত হলে পানি খাব। এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু পানি খাওয়ার পদ্ধতি ও শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তা না জানলে তা বিপদ ডেকে আনে বলেই দাবি চিকিৎসকদের।
তাঁদের মতে, শরীরের পেশী, হাড়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অবস্থান, সব কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই খেতে হবে পানি। পানি তেষ্টা পেল, আর যেমন অবস্থাতেই থাকি না কেন, পানি খেয়ে নিলাম— এ নিয়মে বিপদ আছে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক মহলে।
পানি কেবল তেষ্টাই মেটায় না, শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী কতটা পানি কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হবে তার মাত্রাও ঠিক হয়। কী ভাবে পানি খান? বসে না দাঁড়িয়ে? না কি অত কিছু ভাবেনও না পানি খাওয়ার সময়? তা হলে এ বার ভাবুন।
চিকিৎসকদের মতে, দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার চেয়ে বসে পানি খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। রক্তচাপ, স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ, কিডনির কার্যকারিতা ইত্যাদি নানা দিক খতিয়ে দেখে, বসে
দাঁড়িয়ে পানির বিপদ:
১. স্নায়বিক উত্তেজনার দিক খতিয়ে দেখলে বসে পানি খাওয়াই ভাল। চিকিৎসকদের মতে, দাঁড়িয়ে পানি খেলে স্নায়ু উত্তেজিত হয় ও বাড়ে রক্তচাপ।
২. বেশির ভাগ সময়ে দাঁড়িয়ে পানি খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। শরীরের ভিতরের ছাঁকনিগুলি কুঁচকে যায় ও নেফ্রনগুলি শরীর থেকে টক্সিন সরানোর সুযোগ পায় কম। তাই শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়।
৩. দাঁড়িয়ে পানি খেলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে ধাক্কা মারে। পাচকরসের ক্ষরণ কমে হজমের সমস্যা দেখা যায়।
৪. এ ভাবে পানি খেলে তা হৃদযন্ত্রের উপরেও অতিরিক্ত চাপ ফেলে। বুকের পেশীর উপর এই চাপের ফলে বিষম খাওয়া থেকে শুরু করে শ্বাসরোধ পর্যন্ত হতে পারে।
তা হলে উপায়?
বাড়িতে পানি তেষ্টা পেলে না হয় বসে পানি খাওয়া গেল। কিন্তু যদি পথে ঘাটে পানি তেষ্টা পায়? তা হলে?
চিকিৎসক গৌতম গুপ্তর মতে,‘দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার খারাপ দিককে অনেকে সে ভাবে পাত্তা দেন না, মিথ ভাবেন। কিন্তু এটি সার্বিক ক্ষতিই করে। রাস্তাঘাটে সব সময় বসে পানি খাওয়ার উপায় থাকে না ঠিকই।
তেমন হলে, ওই সময় কেবল তেষ্টা মেটার মতোই পানি খান। পরে বসে পানি খাওয়ার সুযোগ এলে ভাল করে পানি খেয়ে নিন।’’
পানি খাওয়ার নিয়ম:
অনেকটা পানি নয়, শরীর অনুযায়ী পানির প্রয়োজন বাড়ে-কমে। নিজের শরীরে কতটুকু পানি প্রয়োজন তা জেনে নিন চিকিৎসকের থেকে। ততটা পানিই খান রোজ। এক জায়গায় বসে ছোট ছোট চুমুকে ধীরেসুস্থে পানি খান। পানি খেতে খেতে কথা বলার চেষ্টা বা হাঁফাতে হাঁফাতে পানি খেলে তা যে কোনও সময় শ্বাসনালীতে গিয়ে বড় বিপদ ঘটাতে পারে। তাই এড়িয়ে চলুন সে সব।