জেনে নিন কিছুতেই ধূমপান ছাড়তে পারছেন না? দাঁতের ক্ষতি কী ভাবে রুখবেন?
নিউজ ডেস্ক।।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝার মাশুল দিতে হয় অনেককেই। নিয়মিত ধূমপান করলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। জেনে নিন সেগুলি আটকানোর উপায়।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম আমরা বুঝতে পারি না। বয়স বাড়তেই দেখা দেয় দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি থেকে রক্তপাত ও অন্যান্য সমস্যা।
৬০-৭০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছলেই দাঁত তোলা বা রুট ক্যানাল হয়ে পড়ে অবশ্যম্ভাবী। আর তার উপর আপনি যদি ধূমপায়ী হন, তা হলে তো কথাই নেই। অথচ প্রথম থেকেই একটু একটু করে দাঁতের যত্ন নিলে পড়ি কি মরি করে চিকিৎসকের ছুটতে হয় না।
১) দাঁত মাজা: সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার অভ্যাস প্রায় সকলের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তবে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আর এক বার দাঁত মাজার অভ্যাস। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে না চললেই নয়।
২) টুথপেস্ট বাছাই: এই বিজ্ঞাপনের জমানায় আমাদের সামনে একাধিক টুথপেস্টের সম্ভার। তবে টুথপেস্ট বাছার সময়ে অবশ্যই মাথায় রাখুন তাতে যেন ফ্লুওরাইড থাকে।
৩) মাউথওয়াশ: চেষ্টা করুন দিনে এক থেকে দু’বার কোনও অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হয় না, আর দাঁতের উপর জমে থাকা জীবাণুর স্তরও সরে যায় সহজেই।
৪) চিকিৎসকের কাছে যাওয়া: প্রত্যেকেরই বছরে দু’বার নিজস্ব দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ধূমপায়ীরা আরও বেশি বার গেলে ভাল। ধূমপায়ীদের দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা সব সময়েই বাকিদের তুলনায় বেশি। তাই বছরে অন্তত দু’বার স্কেলিং করানো জরুরি।
৫) কুলকুচি: খাওয়াদাওয়ার পর সব সময়ে চেষ্টা করবেন যাতে জল দিয়ে কুলকুচি করে নিতে পারেন। ধূমপানের ক্ষেত্রেও এমনটাই করা উচিত। নইলে নিকোটিনের স্তর জমে দাঁতের বারোটা বাজে।