২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুশখুশে কাশি ও গলা ব্যথা দূর করবে তেজপাতা!

গরমের এ সময় অনেকেই সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন। এর উপর আবার করোনা সংক্রমণ আছে। সব মিলিয়ে এখন সুস্থ থাকা অনেকটা চ্যালেঞ্জের বিষয়।

এ সময় সর্দি লাগলেই খুশখুশে কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে। সর্দি সেরে গেলেও কাশি কমতে চায় না সহজেই। একে তো গলা ব্যথা তার উপরে খুশখুশে কাশি, সব মিলিয়ে ভুক্তভোগীকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়।

বাজারে অনেক ধরনের কাশির ওষুধ পাওয়া গেলেও সেগুলোর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকে। আবার অনেক সময় খুশখুশে কাশি সারতেও চায় না সিরাপ বা ওষুধে। তাহলে উপায়? ঘরে থাকা তেজপাতা দিয়েই কিন্তু সারাতে পারবেন খুশখুশে কাশি।

ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ তেজপাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এই জনপ্রিয় মশালায় এমন এনজাইম আছে, যা প্রোটিনকে ভেঙে ফেলে এবং হজমশক্তি উন্নত করে।

তেজপাতা ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকি কমায়, মাথাব্যথা কমায়, গ্যাস্ট্রিক, খুশকি, জয়েন্টে ব্যথা বা ফোড়া, ক্যান্সার এবং আরও অনেক রোগ সারাতে ভূমিকা রাখে।

তেজপাতা কাশি সারিয়ে তোলে তা কমবেশি অনেকেরই জানা। এ কারণে গরম চায়ে ফুটিয়ে খান অনেকেই। আপনি যদি খুব দ্রুত যদি কাশি কমাতে চান, তাহলে তেজপাতার ধোঁয়া মুখ দিয়ে নিলেই কমবে কাশি।

তেজপাতা খুব সহজেই রেস্পিরেটরি সিস্টেমকে পরিষ্কার করে। সর্দি হোক বা কাশি, তেজপাতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারে। তেজপাতায় আগুন ধরিয়ে সিগারেটের মতো টেনে খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো উপকার মিলবে।

আর যদি না পারেন; তাহলে পানিতে ৪-৫টি তেজপাতা ফুটিয়ে হালকা ঠান্ডা করে খেতে পারেন। একটি কাপড় ভিজিয়ে বুকে সেঁকও নিতে পারেন। যদি তেজপাতার ধোঁয়া

নিতে চান তাহলে জেনে নিন পদ্ধতি-

একটির উপর আরেকটি নিয়ে দুটি তেজপাতা মুড়িয়ে নিন। এরপর একটা সুতো দিয়ে বেঁধে নিন। তেজপাতাটির মাথায় আগুন ধরিয়ে নিভিয়ে দিন।

এবার অন্য তেজপাতার পিছন দিকে মুখ লাগিয়ে আসতে আসতে করে ধোঁয়া টানুন। যাদের ধূমপানের অভ্যাস নেই তারা খুব সাবধানে ধোঁয়া টানবেন। তবে শিশুদের উপর কখনো এ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন না।

আরও যেসব উপকারিতা মিলবে-

তেজপাতায় থাকা ইউজেনলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী দেহের জয়েন্টের প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে। এ রাসায়নিকগুলো শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এ ছাড়াও তেজপাতার ধোঁয়া গ্রহণের ফলে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিও বেড়ে যাবে। তেজপাতার ধোঁয়ায় থাকে পিনে, সিনল এবং ইলেমিকিনের মতো রাসায়নিক। আপনি যদি অ্যালার্জি বা ঠান্ডাতে ভুগেন; তাহলে তেজপাতার ধোঁয়া নাক পরিষ্কার করবে এবং গলার অভ্যন্তরীণ ফোলাভাব কমিয়ে আনতে পারে।

তেজপাতার ধোঁয়া গ্রহণ করলে কাশি ও গলা ব্যথা সেরে যাওয়ার পাশাপাশি মুক্তি মিলবে স্ট্রেস থেকেও। মহামারির এ সময় সবাই দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন! এটি প্রমাণিত যে, তেজপাতার ধোঁয়া বায়ু পরিষ্কার করে এবং মেজাজকে আরও হালকা করে।

তেজপাতায় প্রাপ্ত যৌগগুলো যেমন- ইউজেনল এবং ম্যারসিন এ দু’টিতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে। এ যৌগগুলোর কারণেই তেজপাতা পোড়ানোর গন্ধ মস্তিষ্কে প্রবেশ করে স্নায়ু শিথিল করতে সহায়তা করে। এর ফলে যেকোনো উত্তেজনা ও রাগ থেকে মুক্তি দেয়।

সূত্র: জিনিউজ/ দ্য হেলথ সাইট

আরো দেখুন
error: Content is protected !!