১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছে‌লের হা‌তে বাবা খুন, ২২ ঘণ্টায় চার্জশিট

টাঙ্গাইলে বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শে‌ষে ২২ ঘণ্টার মধ্যেই আদাল‌তে চার্জশিট জমা দি‌য়ে‌ছে সদর থানা পু‌লিশ।

রোববার (১ আগস্ট) মামলার একমাত্র আসামি ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত ছেলের নাম লুৎফর রহমান (৩০)। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভিতরশিমুল গ্রামের নিহত কদ্দুস প্রামাণিকের (৬৫) ছেলে।

এর আগে বাবা‌কে হত‌্যার দা‌য়ে লুৎফরকে আসামি করে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় লুৎফরের বিরুদ্ধে বাবাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার বাদী কদ্দুসের বড় ছে‌লে নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার (৩১ জুলাই ) সকালে তার বাবার সঙ্গে ছোট ভাই লুৎফরের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে লুৎফর ঘরের ভেতর থাকা ধারালো দা এনে তার বাবার কপালে একটি ও মাথার পিছনে দুটি কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদ্দুস প্রামাণিকের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পুলিশ আসামি লুৎফরকে আটক করেছে।

তি‌নি আরও জানান, ঘটনার দিন বি‌কে‌লে মামলার পর পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের তত্ত্বাবধানে দ্রুত মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গ্রেপ্তার লুৎফর জিজ্ঞাসাবাদে তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওহাব রোববার সকালে লুৎফরকে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান। সেখানে লুৎফর তার বাবা কদ্দুস প্রামাণিককে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপরই তদন্ত শেষ করে রোববার দুপুর আড়াইটায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!