ভাঙারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হত্যার আসামি গ্রেপ্তার
মহানগর ডেস্ক।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দেলোয়ার ওই সেলুনে যান। সেখানে শরীর ম্যাসাজ করাতে থাকেন। এক পর্যায়ে লক্ষণ দা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন। তারপর মরদেহ টুকরো করার চেষ্টা করেন। পরে দোকানের মধ্যে একটি বস্তায় লাশ রেখে তালা দিয়ে চলে যান তিনি।
কুমিল্লায় হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার চিতোষী এলাকা থেকে রোববার বেলা দুইটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম লক্ষণ চন্দ্র। তিনি একটি সেলুনের মালিক। তার বিরুদ্ধে ভাঙারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ২৮ বছরের দেলোয়ারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে।
পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেলোয়ারের কাছে সেলুন মালিক লক্ষণ তিন লাখ টাকা পেতেন। সময়মতো টাকা পরিশোধ না করায় তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দেলোয়ার ওই সেলুনে যান। সেখানে শরীর ম্যাসাজ করাতে থাকেন। এক পর্যায়ে লক্ষণ দা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দেলোয়ারকে হত্যা করেন।
তারপর মরদেহ টুকরো করার চেষ্টা করেন। পরে দোকানের মধ্যে একটি বস্তায় মরদেহ রেখে তালা দিয়ে চলে যান লক্ষণ। এ সময় দেলোয়ারের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান।
দেলোয়ারকে খুঁজে না পেয়ে পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন তার ছোট ভাই রবিন হোসেন। অনুসন্ধানে নেমে পুলিশ জানতে পারে লক্ষণের সেলুনে রাতে গিয়েছিলেন দেলোয়ার। শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষণের দোকান থেকে দেলোয়ারের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, শুক্রবার থেকে লক্ষণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারের পর দোকানের পাশে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার হয় দেলোয়ারের মোবাইল ফোনটি। সোমবার লক্ষণকে আদালতে তোলা হবে।