ইংল্যান্ডে সপ্তাহে দু’বার করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক
ইংল্যান্ডে সপ্তাহে দু’বার করোনার পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে প্রত্যেককে এক সপ্তাহে দু’বার করেনার পরীক্ষা করাতে হবে। সরকারের করোনা পরীক্ষার কর্মসূচির আওতায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
দ্রুত করোনা পরীক্ষা করো যায় এমন কিট সহজলভ্য করা হচ্ছে। টেস্টিংয়ের বিভিন্ন স্থান, ফার্মেসিতে এগুলো পাওয়া যাবে। এসব কিটের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটেই করোনা পরীক্ষা সম্ভব।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এর মাধ্যমে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিহত করা যাবে। দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে এই কর্মসূচির বিরোধীরা বলছেন, এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে।
ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় ধাপে লকডাউন শিথিলের বিষয়ে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর আওতায় অনাবশ্যক দোকান-পাট, পাব এবং রেস্টুরেন্ট আগামী ১২ এপ্রিল থেকে চালু করার বিষয়ে আলোচনা হবে। ওই বৈঠকের পর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।
আগামী ৯ এপ্রিল থেকে সবাইকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার বিষয়টি প্রশংসা করে জনসন বলেন, ভ্যাকসিনের কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালনার পাশাপাশি আমরা লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করছি এবং প্রতিনিয়ত সবাইকে টেস্টিংয়ের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যাদের করোনার কোনো ধরনের লক্ষণ নেই তারা বাড়িতে বসেই সহজেই এই পরীক্ষা করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে কারও দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়লে তাকে অবশ্যই বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে হবে। তাদের পরবর্তীতে পিসিআর কোভিড টেস্ট করাতে হবে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৮। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৬ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৯ লাখ ১ হাজার ৬৪২। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৩০ হাজার ৯১০। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৫১৭ জন।