২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূর শরীরে সিগারেট ও কয়েলের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা!

অনলাইন ডেস্ক।।
রাজধানীতে শিউলি আক্তার মিতা (২১) নামের এক গৃহবধূকে সিগারেট ও কয়েলের আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মমিন আলীর বিরুদ্ধে।

নির্যাতনের ৬ দিন পর বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নির্যাতিত গৃহবধূ পালিয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খাকড়াদহ এলাকায় পিতা মোনতাজ সরদারের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই ঘটনা গুরুদাসপুর থানায় না ঘটায় পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি।

নির্যাতিত শিউলি আক্তার মিতা জানান, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে তার নেশাগ্রস্ত স্বামী নেশার টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় ঢাকায় ভাড়া বাসায় তার দুই হাত খাটের সাথে বেঁধে জোরপূর্বক ডান হাত ও বাম হাতের ২১ জায়গায় সিগারেট ও কয়েলের আগুনের ছ্যাঁকা দেয়।

তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে পালিয়ে নিজের গ্রামের বাসায় চলে আসেন। তিনি তার স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শিউলি আক্তারের বাবা মোনতাজ সরদার জানান, ৫ বছর আগে তার মেয়েকে দাদুয়া গ্রামের জলিলের ছেলে মোমিনের সাথে বিয়ে দেন। সংসার করার দুই বছর পর তাদের ঘরে পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

বাচ্চা জন্মগ্রহণের পর থেকেই তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তার মেয়ের সাথে এমন বর্বর নির্যাতনের বিচার চান তিনি।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, গৃহবধূ শিউলি আক্তারের সাথে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকাকালীন সময়ে তার স্বামী তাকে নির্যাতন করেছে বলে দাবি করেন গৃহবধূ। ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানকার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে হবে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!