বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজের ১২২ বছর পূর্তি উদযাপন
কুভিক প্রতিনিধি।।
দক্ষিণ পূর্ব বাংলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ধারক-বাহক, যেই প্রতিষ্ঠানটির নামের পাশে রয়েছে শতবর্ষের পুরনো গৌরব, গোমতীর অববাহিকার জেলা বৃহত্তর কুমিল্লার লাখো মেধাবীদের প্রাণের ও স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।
আনন্দ, উদ্দীপনা, সাজসজ্জা, সভা, সেমিনার, শোভাযাত্রা ও বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ১২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১২২ বছর পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানটির রুপ দেন রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায়।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে লক্ষ্য করে ডিগ্রি শাখা ও উচ্চমাধ্যমিক শাখায় নানাবিধ আয়োজন করেন ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রশাসন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বুধবার সকালে বাংলাদেশের সুউচ্চ ম্যুরাল “বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে” ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভিক্টোরিয়া কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক পরিষদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলো ভিক্টোরিয়া কলেজের সাংবাদিক সমিতির মিডিয়াকর্মী বৃন্দ, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট দল, এয়ার উইংস, বিএনসিসি ও বাঁধনের সদস্য বৃন্দ, ভিক্টোরিয়া কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা এবং ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ”বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ ।
এছাড়াও বাদ জোহর কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার একমাত্র ছাত্রাবাস সোহরাওয়ার্দী হল (নিউ হোস্টেল) মসজিদ ও ডিগ্রী শাখা মসজিদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখার মসজিদ সহ ৩ টি মসজিদে মিলাদ ও কলেজর সর্বাঙ্গীন উন্নতি কামনায় দোয়া করা হয়।
বিশ্বব্যাপী সুনাম ও ঐতিহ্যের সাথে দাপিয়ে বেড়ানো ভিক্টোরিয়া কলেজ ১২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রধান করা হয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বৃন্দ এবং কলেজের কৃতি শিক্ষার্থীবৃন্দকে।
তারপরই শুরু হয় আলোচনা সভা, কলেজের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের সামনে স্মৃতিচারণ ও কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রযোজনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজকের অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সুযোগ্য ও সনাম ধন্য অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান।
উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান এবং অন্যান্য শিক্ষক পরিষদ নেতৃবৃন্দ, কবি নজরুল ইসলাম হল প্রভোস্ট মুনির আহমেদ ও অন্যান্য শিক্ষক বৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ড. আবু জাফর খান বলেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের একটি প্রাণের দাবি ছিলো।
করোনা মহামারির কারনে বিগত বছর আনন্দ উদ্দীপনা মধ্যে দিয়ে প্রোগ্রাম টি করা সম্ভব হয়নি। আজকের এ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বহুদিনের সেই প্রতিক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।
আমার বিশ্বাস এ ধারা সবসময় অব্যাহত থাকবে এবং পরিশেষে তিনি কলেজের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।