যুদ্ধবিরতিতে ‘যাচ্ছে’ ইসরায়েল, জরুরি বৈঠক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘ ১১ দিনের ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের পর অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপে যুদ্ধবিরতি মানতে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এ লক্ষ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।গাজা থেকে বিবিসি সংবাদদাতা রুশদি আবুয়ালোফ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠক শেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে তারা আভাস পেয়েছেন।
টুইটারে বিবিসির এই সাংবাদিক লিখেছেন, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে যারা কাজ করছে, এমন সূত্রগুলো থেকে তারা আভাস পেয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশরকে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ইসরায়েল। অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করছে মিশর।
প্রসঙ্গত, বিগত ১১ দিন ধরে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে প্রায় ২৩০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। যার একটা বড় অংশ শিশু। এ অবস্থায় গত দুই দিন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছিল।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামাসের উপপ্রধান মুসা আবু মারজুক প্রথম যুদ্ধবিরতির কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখন যেভাবে চেষ্টা চলছে, তাতে সফলতা আসবে বলে আমাদের ধারণা। আমরা এও আশা করছি, এক-দুই দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে পারব আমরা। আর এই যুদ্ধবিরতি হবে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই।’
হামাসের ওই মুখপাত্রের এমন ঘোষণার পরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও যুদ্ধবিরতির আভাস পাওয়া গেল।
ইসরায়েলের বিমান হামলার সাধ্যমতো পাল্টা জবাব দিয়েছে হামাস ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোও। বিমান হামলার জবাবে তারা ইসরায়েলে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছে বলে খোদ তেল আবিবের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছে। গাজা থেকে হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ছোড়া রকেটের আঘাতে দুই শিশুসহ ১২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি যুদ্ধবিরতরি আহ্বান জানান। অথচ তার আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েল-বিরোধী নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দেয় আমেরিকা। এ ছাড়া কয়েকদিন আগেও বাইডেন বলেছেন, হামাসের রকেটের জবাবে আত্মরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। মূলত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে বাইডেনও ওই আহ্বান জানান বলেন মনে করা হচ্ছে।