৭০ শতাংশ কোভিড রোগীই গ্রামের!
নিউজ ডেস্ক
দিনকয়েক আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, এখন আর আলাদা করে দেশে কোনো হটস্পট নেই বরং পুরো দেশই একটা হটস্পট। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। জেলা হাসপাতালগুলোর করোনা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যার দিকে লক্ষ্য করলেই সেটা টের পাওয়া যায়। তবে এসব হাসপাতালে আইসিইউ অপ্রতুল থাকায় রাজধানীতে নিয়ে আসা হচ্ছে রোগীদের।
কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। গত কয়েকদিনে হাসপাতালটির রোগীদের পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ রোগীই আসছে গ্রাম থেকে। বাকি ৩০ শতাংশ ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোর। প্রতিদিন এই হাসপাতালে ৬০-৭০ জন করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছে।
শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, দেশে করোনা রোগী যত বাড়ছে এই হাসপাতালেও তত বেশি চাপ পড়ছে। এখানে প্রতিদিন ৬০-৭০ জন রোগী ভর্তি হয় এবং মারা যায় ১০-১২ জন। এদের অধিকাংশই গ্রামের।
তিনি আরও বলেন, এখানে চিকিৎসা খরচ খুবই কম। পর্যাপ্ত আইসিইউসহ অন্যান্য সুবিধা থাকায় জেলা শহরগুলোর হাসপাতাল থেকে রোগীদের এখানে পাঠানো হয়। মূলত সিরিয়াস রোগীরাই এখানে আসে, তাই তাদের অনেকের ক্ষেত্রে আইসিইউর প্রয়োজন হয়। তবে এভাবে আরও কিছুদিন চলতে থাকলে শিগগিরই এই হাসপাতালেও বেড সংকট দেখা দেবে।
হাসপাতালটিতে রয়েছে ২১২টি আইসিইউ বেড, ২৫০টি এইচডিইউ বেড, আইসোলেটেড কক্ষ রয়েছে ৫৩৮টি। রয়েছে ৬ শয্যা ট্রায়াজ বেড ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জরুরি বিভাগ। সবগুলো বেডের সাথেই রয়েছে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ও সিলিন্ডার।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালটি আগে ছিল মার্কেট। ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ২০২০ সালের ৯ আগস্ট পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দেন। এর পর থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা এই মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে তা হাসপাতালে রুপান্তরিত হয়।