২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অক্সিজেট উৎপাদনের অনুমোদন পেল বুয়েট

নিউজ ডেস্ক 👁️
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন দেয়ার জন্য বুয়েটের তৈরি অক্সিজেট নামের ডিভাইসটি আপাতত ২০০ ইউনিট উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বুধবার (২৯ জুলাই) রাতে নিশ্চিত করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ডিভাইসটির উদ্ভাবক বুয়েট শিক্ষক ড. তওফিক হাসানের।

তওফিক হাসান বলেন, ‘আমরা কিছুক্ষণ আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি চিঠি পেয়েছি যে ওনারা আমাদের ২০০টি অক্সিজেট সি ফাইভ ডিভাইস তৈরি করার অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা আশা করছি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ডিভাইসটি কিছু মানুষের কাজে লাগবে। যাদের বিশেষ করে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেশি ও আইসিইউর সল্পতা রয়েছে। এই ডিভাইসটি ভালোভাবে পারফর্ম করার পরবর্তীতে আরও তৈরি করার অনুমোদন পাওয়া যাবে।’

বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসানের নেতৃত্বে অক্সিজেট নামে একটি ডিভাইস তৈরি করেন। এটি দিয়ে হাসপাতালের সাধারণ বেডেই ৬০ লিটার পর্যন্ত হাই ফ্লো অক্সিজেন দেয়া সম্ভব বলে তারা জানান।

একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার জন্য খরচ যেখানে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা, সেখানে বুয়েটের আবিষ্কৃত যন্ত্রটির উৎপাদন খরচ পড়বে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা।

যন্ত্রটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) অনুমোদন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দুটি ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ডিভাইসটি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছিল না।

সম্প্রতি বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এক আইনজীবী। বিচারক তখন ‘অক্সিজেট’ নামের ডিভাইসের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার পরামর্শ দেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘অক্সিজেটের ওপর মিডিয়ায় ইতিবাচক প্রতিবেদন পড়েছি। কোভিড তো আমাদের সবার চোখ খুলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক ইনোভেটিভ মাইন্ডের। করোনাকালে যদি নতুন এই ডিভাইসে জনগণের প্রাণ রক্ষা হয়, নিশ্চয়ই তিনি বিচার বিবেচনা করে দেশের স্বার্থে তা ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারেন।’

বিচারপতি আরও বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা গত বছর বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে অনেক টাকা। আমরা তো আবার জিনিসপত্র কেনাকাটায় বেশি আগ্রহী। অথচ দেশীয় উদ্ভাবিত জিনিসে অতটা আগ্রহী হই না।’

আবেদনকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বিচারক বলেন, ‘এই ধরনের ডিভাইস নিয়ে পাবলিক ক্যাম্পেইন দরকার। আপনি (আইনজীবী) এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেন। আমাদের আদেশ ছাড়াই যদি বিষয়টির সুরাহা হয় তাহলে তো ভালো। কারণ সরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটা নিয়ে নানা নিয়মনীতি রয়েছে। রয়েছে নানা ঝামেলা। আমরা এখান থেকে বিষয়টির ভালো বা খারাপ দিক কী কী বুঝতে পারব না।’

আরো দেখুন
error: Content is protected !!