২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইন জুয়া: বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র রিমান্ডে

নিউজ ডেস্ক
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তার শাহিনুর ক্যাসিনো প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া পরিচালনাসহ অর্থ লেনদেন করতেন এবং তিনি ভার্চুয়াল কারেন্সির পেমেন্ট গেটওয়ে ম্যালবেট ও লাইনবেটের সরাসরি এজেন্ট। গ্রেপ্তার দীপ্ত রায়, মোস্তফা ও রাকিবুল মুভক্যাশের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া পরিচালনা করতেন।

অনলাইনে জুয়া খেলা পরিচালনার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। এরা হলেন শাহিনুর রহমান, দীপ্ত রায় প্রান্ত, গোলাম মোস্তফা ও রাকিবুল হাসান। তারা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম মঙ্গলবার রিমান্ডের এ আদেশ দেন। দুপুরে ওই চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেককে ১০ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

শুনানি শেষে হাকিম মো. মইনুল ইসলাম প্রত্যেককে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান।

এর আগে গত সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকা থেকে ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম তাদের গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অনলাইন জুয়ায় ব্যবহৃত ল্যাপটপ, আইপ্যাড, একাধিক স্মার্ট ফোন, হার্ডডিস্ক, পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তার শাহিনুর ক্যাসিনো প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া পরিচালনাসহ অর্থ লেনদেন করতেন এবং তিনি ভার্চুয়াল কারেন্সির পেমেন্ট গেটওয়ে ম্যালবেট ও লাইনবেটের সরাসরি এজেন্ট। গ্রেপ্তার দীপ্ত রায়, মোস্তফা ও রাকিবুল মুভক্যাশের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া পরিচালনা করতেন।

আসামিরা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অবৈধ জুয়া পরিচালনায় ভার্চুয়াল কারেন্সি আদান-প্রদান এবং ডিপোজিট ও এনক্যাশ করতেন।

এভাবে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা দেশের বাইরের বিভিন্ন এজেন্টের কাছ হতে কারেন্সি সংগ্রহ করতেন এবং দেশব্যাপী অনলাইন জুয়াড়িদের তা সরবরাহ করতেন।

তারা গ্রাহকের মাঝে এই কারেন্সি বিক্রয় এবং এনক্যাশের জন্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, টাঙ্গাইল এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বিকাশ, নগদ ও রকেটের এজেন্ট নম্বর ব্যবহার করতেন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!