২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমাম হুসাইন (আ.) এর সাথীগণ

ধর্ম ও জীবন ডেস্ক।।
কারবালার ঘটনায় অনেক শিক্ষা রয়েছে। ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যকার এই আন্দোলন এমন একটি পরিস্থিতিতে ছিল যেখানে মানুষের ব্যক্তিত্ব তাদের পছন্দ ও আচরণের নিরিখে প্রকাশ পায়।

এর মধ্যে এমন একটি দল ছিল, যারা শেষ পর্যন্ত ইমাম হুসাইনের (আ.) সঙ্গী ছিল।

ইমাম হুসাইন (আ.) মদীনা থেকে কারবালা যাওয়ার সময় বিভিন্ন ব্যক্তির মুখোমুখি হন। এর মধ্যে প্রথম স্তরের ব্যক্তিরা হলেন, যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর সাথে ছিলেন, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি তাদের নিকট হতে বাইয়াত তুলে নিয়েছিলেন।

ইমাম (আ.) বললেন, “আমি আমার সাহাবীদের চেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ কোনো সাহাবীকে চিনি না, এবং আমি আমার আহলে বাইতের চেয়ে অধিক গুণী কোনো পরিবারের সদস্যদের চিনি না। আল্লাহ তাদের সবাইকে প্রতিদান দিন।”

ইমামের সঙ্গী ছিলেন তারা যারা মুসলিম ও কায়েস বিন মাশারের শাহাদতের সংবাদ শুনেছিলেন এবং এমনকি কারবালায় প্রবেশের সময় হুরের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিলেন, এ সত্ত্বেও তারা সকলে শেষ পর্যন্ত আন্তরিকতা ও অন্তর্দৃষ্টির সাথে ইমাম হুসাইন (আ.)এর অনুগত করে গিয়েছেন।

ইমাম হুসাইন (আ.)এর সঙ্গীদের অবস্থান ছিল ভিন্ন ভিন্ন। হুরের তওবা করে ইমামের লাশকারে যোগ দিয়েছিলেন।

তবে প্রথম থেকে যারা ইমামের সাথে কষ্ট সহ্য করে এসেছেন, পরকালে হুরের স্থানে তাদের সমস্থানে না’ও হতে পারে।

পথে এবং কারবালায়, উম্মে ওয়াহহাবের মতো কিছু লোক ইমাম (আ.)-এর সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়, যারা বিশ্বস্ত ও মুক্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।

এ থেকে বোঝা যায় যে, মানুষের বসিরাত বা অন্তর্দৃষ্টি থাকলে তারা আশুরার দিন পর্যন্ত ইমাম (আ.)-এর সাথে যোগ দিতে পারত, সেদিন অনেকেই অন্তর্দৃষ্টি ছিল না, কিন্তু কিছু লোক উমর সাদের বাহিনী ছেড়ে শেষ মুহূর্তে ইমামের সাথে যোগ দিয়েছিল।

ওবায়দুল্লাহ বিন হুর জাফী সেই ব্যক্তি যাকে ইমাম (আ.) তাঁর তাঁবুতে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু এই হতভাগা ব্যক্তি ইমামের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি।

সেদিন ওবায়দুল্লাহ বিন হুর জাফী ইমামকে তার একটি ঘোড়া উপহার দেওয়ার কথা বলেছিল। আনাস বিন হারিস কাহলিও কুফা ত্যাগ করেছিলেন যাতে ইমাম হুসাইন (আ.)এর মুখোমুখি না হতে হয়, কিন্তু ইমামের বিরুদ্ধে ওমর সাদের কথা শুনে তিনি ইমামের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

ইয়াজিদ বিন ছাবাইত বাসরার অধিবাসী, তার ১০টি ছিল এবং এর মধ্যে তার দুই ছেলে স্বেচ্ছায় ইমাম (আ.)-এর দলে যোগ দেন।

* ইসলামী ইতিহাসের অধ্যাপক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন মোহাম্মদ রেজা জাবারির বক্তব্য থেকে সংগৃহীত।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!