এ যেন স্বপ্নের অচেনা কুমিল্লা!!
✒️ সৈয়দ বদরুদ্দোজা টিপু
সোমবার, রাত আনুমানিক সোয়া ৮টা। দূর থেকে ভেসে আসছে এশার আজান। ব্যস্ততম জনবহুল যান্ত্রিক মহানগরী কুমিল্লা পুলিশ লাইন জুন মাসের রাত সোয়া ৮টা বলতে সন্ধ্যার ঘণ্টাখানেক পরের সময় বললে খুব ভুল বলা হবে না।
স্বাভাবিক সময়ে এ সময়টাতে রাস্তাঘাটে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি থাকে। কেউ অফিস শেষে পরিবার পরিজন নিয়ে মার্কেট-শপিংমলে যায়, কেউ সন্ধ্যার পর হোটেল-রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে বের হয় আবার কুমিল্লা সরকারি কলেজ গেইটে অপেক্ষাকৃত তরুণরা বন্ধুদের সঙ্গে মেতে ওঠে আড্ডায়।
তবে অন্যান্য সময়ের রাতের সঙ্গে আজকের রাতের বিস্তর তফাৎ লক্ষ করা যায়। এ সময় শহরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাত সোয়া ৮টায় যেন মধ্যরাতের নীরবতা। রাত ১২/১টা পর্যন্ত অলিগলি থেকে রাজপথ বিভিন্ন পেশাসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি থাকলেও আজ সর্বত্র সুনসান নীরবতা বিরাজ করতে দেখা যায়।
বাতাসে একটি গাছের পাতা ঝরলেও শব্দ কানে ভেসে আসে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যাত্রীর সন্ধানে রিকশাচালক ও ভাড়ায় চালিত অটো রিকশা চালক, বিভিন্ন অলিগলিতে মোটরসাইকেলের ভোতভাদ আওয়াজ করতে দেখা যেতো।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে আজ থেকে তিনদিন (২৮ জুন থেকে ৩০ জুন) বিধিনিষেধ সাপেক্ষে লকডাউন পালন শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ রয়েছে ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলসহ সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রিকশা ছাড়া সকল প্রকার গণপরিবহন (বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে মালবাহী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবাদানকারীদের বহনকারী গাড়ি ব্যতীত) বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়।
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও আজ লকডাউনের প্রথম দিনটিতে দিনভর রাস্তাঘাটে অসংখ্য প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। আজ কুমিল্লা শহর রিকশাচালকদের দখলে ছিল। অন্যান্য দিনের চেয়ে সংখ্যায় কম হলেও দিনেরবেলা উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক মানুষজনের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পরপরই পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে রাজপথ প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে।কুমিল্লা জেলায় আজকে কোভিড -১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৭৫, শনাক্তের হার ৩৩.১%। দিন দিন বেড়ে চলছে সংক্রমণের হার।
■মাস্ক পড়ুন, সচেতন হোন।
■স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।।