করোনার পর যুক্তরাষ্ট্রে এবার মাংকি পক্সের হানা
করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই দশক পর আবারও ‘মাংকি পক্স’ হানা দিয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণের শঙ্কায় দেশটির ২৭টি অঙ্গরাজ্যের অন্তত ২০০ ব্যক্তিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, দেশটির টেক্সাসের একজন বাসিন্দা সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণে যান। সেখান থেকে টেক্সাস ফেরার পর ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া ফলে একাধিক ব্যক্তি মাংকি পক্সের সংক্রমণের শিকার হন। বর্তমানে শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে ২০০৩ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম মাংকি পক্স ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেল।
সিডিসি আরও জানায়, ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ার লাগোস থেকে বিমানে চড়ে গত ৮ জুলাই যান আটলান্টায়। তারপর ৯ জুলাই আটলান্টা থেকে আরেকটি বিমানে তিনি টেক্সাসের ডালাসে যান। তার শরীরে মাংকি পক্সের লক্ষণ রয়েছে। এ সময় ওই দুই বিমানের যাত্রীরা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু বিমানের যাত্রীরা সবাই মাস্ক পড়ে থাকার কারণে তাদের মধ্যে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক কম বলেও জানায় সিডিসি।
সিডিসির একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, তারা রাজ্য এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কাজ করছেন যাতে তারা খুঁজে বের করতে পারেন যে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি কাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, যে ২০০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তাদের কেউই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এমনটি মনে হয়নি।
মাংকি পক্সের লক্ষ্মণ
সিডিসি জানিয়েছে, ভাইরাসটি আক্রমণের প্রাথমিক লক্ষ্মণ চিকেন পক্সের মতই সাধারণ। প্রথমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পানিযুক্ত ফুঁসকুড়ি হয় বা লাল র্যাশ হয়। এ সময় জ্বর, মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা ইত্যাদি থাকতে পারে। পরে ফুঁসকুড়ি চরম চুলকানিতে রূপ নেয় এবং পরিবর্তিত হয়ে স্ক্যাব সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে।
সিডিসি জানায়, ইঁদুর, কাঠবিড়ালী ও বানর এই ভাইরাসটির বাহক।