কাকলীর ধাক্কা, মাস্টার-সুকানি বরখাস্ত
নিউজ ডেস্ক।।
পদ্মা সেতুতে ফেরি কাকলী’র ধাক্কার ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং হুইল সুকানী আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) এক আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আদেশে বলা হয়, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে চলচলারত ফেরি কাকলী সঠিকভাবে পরিচালনায় ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ ওই ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং হুইল সুকানী আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি শুক্রবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে কাকলি নামে ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়।
গত ৯ আগস্ট একই পিলারে ধাক্কার চারদিনের মাথায় আবার এ দুর্ঘটনা ঘটল। ফেরি কাকলির চালক মো. বাদল হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির একপাশে ফাটল ধরে।
তিনি আরও বলেন, তবে ফাটল পানির স্তরের ওপরে থাকায় ফেরিতে পানিও ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
চালক মো. বাদল হোসেন বলেন, ফেরিটির কারিগরি সমস্যা ছিল। যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্প্রতি জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়নি বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাট কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও তিনবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে। থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন, ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সেসব ঘটনায়।