কালেমা পাঠের ফজিলত
ধর্ম ও জীবন ডেস্ক।।
কালেমা অর্থ হলো ঈমান বা বিশ্বাস। ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের প্রথমটি হলো ঈমান। ঈমানের অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এর মধ্যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হলো সর্বপ্রথম।
এ তাওহিদের কালেমা পাঠের ফজিলত অনেক। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নবী নুহ আলাইহি সালাম তাঁর মৃত্যুর সময় তাঁর ছেলেকে বলেন, ‘আমি তোমাকে দুটি জিনিসের অসিয়ত করছি। আদেশ করছি- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র (জিকিরের)।
স্মরণ রাখবে- যদি সাত আসমান ও সাত জমি এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়। তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র পাল্লা (ওজনে) ভারি হবে।
আর যদি সাত আসমান ও সাত জমিন একটি অবিচ্ছেদ্য গোলাকার বৃত্ত হতো। তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ উভয়টিকেই চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিতো।
ইহা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং এর (জিকিরের) মাধ্যমেই সমগ্র সৃষ্টিরাজি রুজি তথা জীবিকা পেয়ে থাকে। আর তোমাকে নিষেধ করি (দুটি জিনিস থেকে)- শিরক এবং অহংকার থেকে। (মুসনাদে আহমদ, বুখারি ও আদাবুল মুফরাদ)
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘জান্নাতের চাবি হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রতিপালক নেই। ’ (মুসনাদে আহমাদ : ৩৬/২২১০২)।
হজরত ওসমান রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ঘোষণা দেয় এবং এরই উপর মৃত্যুবরণ করে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (মুসলিম : ১/২৬)।