কুমিল্লার প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকেছে ইভিএম দেখাতে- ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যাচাই করে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তাদের রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আসতে হবে। সেখানেই ইভিএম কাস্টমাইজেশন করে দেখানো হবে।
কুমিল্লা সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান।
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লায় ভোট পুরোপুরি ইভিএমে নেয়া হবে। এই যন্ত্র ব্যবহারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আপত্তি না থাকলেও স্বতন্ত্র পরিচয়ে দাঁড়ানো বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা ব্যালটে ভোট নেয়ার দাবি করছেন। তাদের দাবি, ইভিএমে কারচুপি করা যায়।
এই পরিস্থিতিতে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ইভিএম কাস্টমাইজেশন কার্যক্রম আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে করা হবে।
সেখানে কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তার মনোনীত কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।
যারা এখানে আসতে চান, তাদের ২৬ মে বিকেল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে বা প্রতিনিধির নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ মের মধ্যে আবেদন না করলে ধরে নেয়া হবে যে ওই প্রার্থী ইভিএম কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া দেখতে আগ্রহী নন। ২৬ মে নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ মে।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। পরের বছর হয় প্রথম নির্বাচন হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটিতে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিন গুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। বর্তমানে এই সিটিতে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে।
দুটি নির্বাচনেই কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি ভোটেই জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। তার দল এবার ভোট বর্জন করায় গত দুবারের মেয়র এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
আওয়ামী লীগ এখানে পরপর তিনটি নির্বাচনে নতুন মুখ দিয়ে জয়ের চেষ্টায় আছে। প্রথম নির্বাচনে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে নেতা আফজল খানকে দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরের বার তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাও পেরে ওঠেননি।
এবার নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে।
দুই দলেই আছে কোন্দল। সাক্কুর বিরোধিতা করে মাঠে আছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার। অন্যদিকে প্রয়াত আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।