কুমিল্লায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ !
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার কচুয়া চৌমুহনী এলাকায় নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বিক্ষোভ করছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ চলে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত।
পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন চালকরা। এর পরেই কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভরত সিএনজি চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না পেলে অটোরিকশাগুলো ধরে মামলা দিয়ে পুলিশ লাইনে রেখে দেয়। এ সমস্যা থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে বুধবার তারা বিক্ষোভ করে।
খবর নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীতে সহস্রাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে। এসব অটোরিকশা ট্রাফিক পুলিশের দেয়া টোকেন ছাড়া চলাচল করতে পারে না।
নগরীর সড়কগুলোতে অটোরিকশা চলাচল করলে প্রতি মাসে ১২শ টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিলে সিএনজি চালকরা একটি টোকেন পান। এই টোকেন থাকলে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে কোন ঝামেলা করে না। যারা ১২শ টাকার টোকেন সংগ্রহ করবে না, তাদের সিএনজি ধরে বিভিন্ন ধারায় মামলা দিয়ে পুলিশ লাইন নিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছেন চালকরা।
ভুক্তভোগী অন্তত ১০ জন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমরা ১২শ টাকায় টোকেন সংগ্রহ না করায় ট্রাফিক পুলিশ আমাদের সিএনজি ধরে মামলা দিয়ে পুলিশ লাইনে নিয়ে গেছে। বহু দিন ধরে এমন চলতাছে। আর না পেরে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাফিক পরিদর্শক এমদাদুল হক জানান, মূলত আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিলো নগরীর যানজট নিরসনে কান্দিরপাড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডটি বন্ধ করতে হবে। কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি। এ কারনে চালকরা বিক্ষোভ করছে।
চাঁদাবাজি কিংবা টোকেন মূল বিষয় নয়, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদেরকে ধরে ট্রাফিক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা শুভাশিস ঘোষ বলেন, আমরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের আশ্বস্থ করেছি যে, যদি তাদের বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও ট্রাফিক পুলিশ হয়রানী করে সেক্ষেত্রে পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে বিষয়টি যথাযথভাবে তুলে ধরবো।
কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন, আমরা সিএনজি চালক, মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে আজ সন্ধ্যায় নগরীর টাউনহলে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।
যদি আমরা ট্রাফিক পুলিশ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাই সেক্ষেত্রে আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে এ বিষয়ে সুরাহা প্রত্যাশা করবো। এ কথা শুনে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা বিক্ষোভ থেকে সরে আসে।