২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ৭ কলেজ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থী। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছেন।

নিখোঁজ ডায়েরি আর পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান সাতজনের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী।

যাওয়ার সময় তেমন টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন কিংবা বাড়তি পোশাকও নেননি তারা। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলেও নিখোঁজ প্রত্যেকেই ছিলেন পরস্পরের পরিচিত। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

স্বজনদের দাবি, পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো বিশেষ বিষয়ের প্রতি কখনও তারা সন্তানদের আগ্রহ দেখেননি। কলেজ, কোচিংয়ের বাইরে যে সময়টি পেতেন তার বেশির ভাগটাই বাসায় বই পড়ে কিংবা মোবাইল ফোনে তারা সময় কাটাতেন।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজ নিজ সন্তানদের কোনো শত্রু নেই বলেও জানান অভিভাবকরা। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান বিন রহমান, সামি, কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম, নিহাল, ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত, একই কলেজের তৃতীয় বর্ষের আমিনুল ইসলাম আলামিন ও ঢাকা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স সম্পন্ন করা নিলয়।

কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান। মজিবুর রহমান তার ছেলের সম্পর্কে মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদককে জানান, ছেলে পড়াশোনা, কলেজ, কোচিং সেন্টার আর মসজিদ ছাড়া কোথাও যায় না।

২৩ আগস্ট দুপুরে ইমরান তার বাবাকে বলেন, ‘আব্বু, আমি আজ কোচিং থেকে রেলস্টেশন মসজিদে তাবলিগের বয়ান শুনতে যাব। ফিরতে দেরি হবে। আম্মুকে বলো না।’

মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ওই দিন রাতে বাসায় না ফেরায় সারা রাত খোঁজাখুঁজি করি। পরদিন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করি। পরে র‌্যাব কুমিল্লাকে জানাই।’

কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহালের বাবা সাইফুল ইসলামসহ নিখোঁজ অন্যান্য অভিভাবকও প্রায় একই ধরনের তথ্য দেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের জিডি হাতে পেয়েছি। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। তারা দলবদ্ধভাবে কোথাও গেছে, নাকি অন্য কোনো বিষয় তা তদন্তের পর বলতে পারব।’

এ বিষয়ে র‌্যাব ১১ সিপিসি ২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আশা করি, দ্রুত আপনাদের অগ্রগতি জানাতে পারব।’

আরো দেখুন
error: Content is protected !!