কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের হেসাখালে গাছ উপড়ে সন্তানসহ দম্পতির মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ উপড়ে পড়ে শিশু সন্তানসহ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। ঘূণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে এ নিয়ে তিন জেলায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখালে সোমবার রাত ৯টার দিকে গাছ উপড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেসাখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার।
নিহতরা হলেন নিজাম উদ্দিন, তার স্ত্রী সাথি আক্তার ও তাদের মেয়ে লিজা আক্তার।
চেয়ারম্যান ইকবাল জানান, পরিবারটির ঘরে ওপর এসে পড়ে উপড়ে যাওয়া গাছটি। এতে ঘরেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর অন্য দুজন মারা গেছেন।
এর আগে ভোলার দৌলতখানে ঘরচাপায় এক বৃদ্ধা ও চরফ্যাশনের শশিভূষণে গাছচাপায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
ভোলায় মৃতরা হলেন দৌলতখান উপজেলার পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৮০ বছর বয়সী বিবি খাদিজা ও শশিভূষণ থানার চেয়ারম্যান বাজার এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী ৩০ বছরের মনিরুল ইসলাম।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ঘরচাপায় নারীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান সিত্রাং-এর প্রভাবে গাছচাপায় যুবকের মত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের কাছে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মর্জিনা বেগম নামের একজন মারা যান।
তিনি লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের আব্দুল গফফারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন; গৃহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করতেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন জানান, অন্যান্য দিনের মতোই মর্জিনা কাজে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন।
পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের কাছে পৌঁছালে একটি মেহগনিগাছের ডাল ভেঙে তার মাথার ওপর পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।