১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা শপিংমল গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে পুলিশের অভিযান

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা মহা আনন্দে নগরীর ব্যস্ততম কান্দিরপাড় এলাকার শপিংমল ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করছেন নগরবাসী । শারীরিক সুরক্ষার কথা ভুলে গিয়ে একে অপরের গা-ঘেঁষে কেনাকাটায় মগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ততায় বেসামাল শো রুম ও দোকান মালিক কর্মচারি গণ। ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও যানবাহনের জ্যাম থেকে বাঁচতে গত ২০ শে রমজান থেকে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায়টি যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কুমিল্লায় জেলা পুলিশ প্রশাসন।

গতকাল দুপুরে নগরীর কুমিল্লার মার্কেট, কাঁচাবাজার, ফুটপাত, জনসমাগমের স্থল ও সড়কে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি ঠিকভাবে মানতে জনগণকে নানাভাবে উৎসাহিত করে আসছে জেলা পুলিশ। এসময়ে দুই লক্ষাধিক মাস্ক বিতরণ করা হয়। রমজানের ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার মার্কেটগুলোতে জনসমাগম বাড়ায় কুমিল্লায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনার শুরু হয়। সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ। গতকাল নগরীর নিউমার্কেট, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, আনন্দ সিটি সেন্টার, হোসনে আরা ম্যানশন, গণি ভূঁইয়া ম্যানশন, সাইবার ট্রেড, নূর মার্কেট, হিলটন টাওয়ার, বাদুরতলায় ইনফিনিটি, ক্যাটসআই, কান্দিরপাড়ের ম্যানস্ ওয়ার্ল্ড, আফতাব সুপার মার্কেট, খাদির দোকানসমূহ, কান্দিরপাড় থেকে চকবাজার পর্যন্ত ফুটপাত, নিউমার্কেট ও রাজগঞ্জ বাজারের অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদের দিকনির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার ও কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বেশ কয়েকটি দোকান মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এছাড়া যারা মাস্ক পরেননি, তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন,‘প্রায় দুই মাস ধরে কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছি। ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট ও কাঁচাবাজারে জনসমাগম বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি যাতে যথাযথভাবে রক্ষা করা হয় সে লক্ষে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত জেলা পুলিশ এক লাখ ৮০ হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করেছে। দুপুরে মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিং মল ও ফুটপাতগুলোতে তদারকি ও অভিযান চালাতে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মাস্ক পড়তে শুরু করেছে। এটাই আমাদের সর্বশেষ বার্তা। ভবিষ্যতে যেকোনও অভিযানে স্বাস্থ্যবিধির অমান্য দেখলেই দোকান বন্ধ করে দেওয়াসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!