১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চৌদ্দগ্রামে টর্নেডোর আঘাতে মসজিদ-মাদরাসাসহ ৪০ টি বাড়ীঘর লন্ডভন্ড

মনোয়ার হোসেন,
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা ও শালুকিয়া এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে মসজিদ-মাদরাসাসহ প্রায় ৪০টি বাড়ীঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

এ সময় ধমকা হাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়।

খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কর উপর থেকে ভেঙ্গে পড়া গাছপালা গুলো সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ঘটনায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের নিকট সরকারী কোনো সাহায্য পৌঁছেনি।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ মে) বিকালে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের শালুকিয়া ও আমানগন্ডা গ্রামে সাতপুকুরিয়া পাথর থেকে হঠাৎ করে ধমকা হাওয়া রূপ ধরে আঘাত হানে। এ সময় আমানগন্ডা পশ্চিম পাড়ার পাঞ্জেগানা মসজিদে আঘাত করে লন্ডভন্ড করে দেয়।

এছাড়া আবুল কালাম কালুর মুরগির ফার্ম ও দোকানঘর ও বসতবাড়ি, জাফর আহমেদের দোকানঘর, সিরাজ মিয়ার বাড়ী ও দোকানঘর, সাদ্দামের বসতঘর, বাচ্চু মিয়ার ২টি বসতঘর, আনোয়ার হোসেন, পারভিন, আলী আহমেদ প্রকাশ টোয়ান, লিটন চক্রবর্তী, আব্দুল হালিম, শাহআলম কিরণ, আমান উল্লাহ, ইউসুফ, রফিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, হাজী সুরুজ মিয়া, মনছুর আলী, আবুল বাশার, ওয়াসিম, রজ্জবের নেছা, স্বজল হক, শুক্কুল মিয়া, মরণ মিয়া, আব্দুল মতিন, জাকির হোসেন, মাবুল হক, সুজনের বসতঘর ভেঙ্গে দুমড়ে-মুছড়ে যায়।

পরে আমানগন্ডা বাজার অতিক্রম করে শালুকিয়া গ্রামের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা কমপ্লেক্সে টর্নেডোটি আঘাত হানে।

টর্নেডোর আঘাতে টিনসেড ঘরসহ বিভিন্ন গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরগুলো কমপক্ষে কয়েকশ’ গজ দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। তবে, এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফয়েজ আহম্মেদ জানান, ‘শুক্রবার বিকালে টর্নেডোর আঘাতে গাছপালা ভেঙে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর পড়লে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়ক থেকে গাছপালা সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় স্থানীয় মসজিদ-মাদরাসাসহ সাধারণ মানুষের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা হতে পারে’।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘সংবাদ পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হবে।

এছাড়া সরকারী অন্যান্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে’।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!