টিকটক মডেল ও চাকরির প্রলোভনে কিশোরী পাচার করেন তিনি
👁️নিউজ ডেস্ক ✒️
মাত্র পনের বছর বয়সের এতিম মেয়েটি থাকতো ঢাকার মোহাম্মাদপুরে ফুপুর বাড়িতে। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও তাকে ভালো বেতনের চাকরি এমনকি টিকটক ভিডিও নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুরে যৌনপল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি ঘরে তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে র্যাব-৮। এ ঘটনায় ওই ঘরের মালিক আদম কাজীকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, আদম কাজী মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচারকারী দলের সদস্য আদম কাজী বিভিন্ন জেলা থেকে সহজ-সরল মেয়েদের ভালো বেতনের চাকরি দেয়াসহ টিকটক ভিডিওর মডেল বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুর যৌনপল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। ফরিদপুরের রথখোলায় গড়ে ওঠা বৃহত্তর এই যৌনপল্লীতে একটি দোতলা বাসা রয়েছে তার।
তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোরীদের নানা কায়দায় এখানে এনে কাউকে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়া হয়। কাউকে দেশের বাইরে পাচার করা হয়। আবার কাউকে তার যৌনপল্লীর বাসায় রেখে দেহব্যবসা করায়। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে উদ্ধার হওয়া মেয়েটিকে দুদিন আগে ঢাকা থেকে ফুঁসলিয়ে এনে তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক জানান, আটক আদম কাজীর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে মেয়েটিকে নারী পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়।