তালেবানের অর্থের বড় উৎস আফিম ও পপি
অনলাইন ডেস্ক।।
আফগনিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ। হেরোইন তৈরিতে এই আফিম প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।খবর বিবিসির
ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যে যে পরিমাণ হেরোইন যায়, এর ৯৫ শতাংশই আফগানিস্তান থেকে যায়।
আফগানিস্তানে আফিমের চাষ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তারপরেও দরিদ্র কৃষকরা অর্থের জন্যে এই পপি চাষে উৎসাহিত হন।জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত ২০ বছরে দেশটির আফিম উৎপাদন ব্যাপক বেড়েছে। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ১২টি ছাড়া সব কটিতে আফিম চাষ হয়। পপি চাষ বন্ধ করার জন্য চাষীদের নানা ধরনের বিকল্প পণ্য যেমন আনার ও জাফরান চাষের জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তার পরও এই অবস্থা।
বিবিসির খবর অনুসারে, তালেবান ২০০১ সালে আফিম চাষের ওপর স্বল্পমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু পরে এটি দিন দিন তাদেরসহ অন্যদের কাছে কোটি কোটি ডলার আয়ের উৎস হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে ক্রমশ পপি চাষ বাড়ছে, তার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং কর্মসংস্থানের অভাবকে প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
পপি থেকে যে আফিম উৎপন্ন হয় সেটা দিয়ে মরফিনের মতো শক্তিশালী বেদনানাশক তৈরি করা হয়। ওষুধ তৈরিতে ব্যবহারের জন্যেও বহু দেশ এই আফিম চাষ করে থাকে।
যেসব এলাকা তালেবান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সেখানে তারা পপি চাষের ওপর চড়া কর বসিয়েছে এবং এর মাধ্যমে তারা প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।
পপি চাষে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র কান্দাহার প্রদেশ। হেলমান্দের পর এর অবস্থান। কান্দাহারের ২ একর জমিতে পপি বুনেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী কৃষক মোহাম্মদ নাদির। রয়টার্সকে তিনি বলেন, গম বা অন্যান্য ফসল চাষ করলে তাদের যথেষ্ট লাভ হয় না। তার ক্ষেতে চাষ করা পপি থেকে আয় হবে ৩ হাজার ডলার। অথচ ওই একই জমিতে যদি তিনি গম চাষ করতেন তাহলে তার আয় হতো ১ হাজার ডলার কম। যদিও পপি চাষ করে পাওয়া টাকা তিনি একাই নিতে পারবেন না। জমি রক্ষা করার জন্য তালেবান ও মাদক বিক্রির জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদেরকে ভাগ দিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি