১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তাহসান-মিথিলার দেখা হলো, কথা হলো

নিউজ ডেস্ক
তাহসান আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে এলে অনেক মানুষ এই অনুষ্ঠানটা দেখবে। তাই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বলতে চাই যে, আমরা দুজনে হয়ত আলাদা হয়ে গেছি, কিন্তু আমরা সসম্মানে পাশাপশি বসে কথা বলতে পারি। একে অপরকে কটূ কথা না বলে শ্রদ্ধা নিয়ে কথা বলা যায়।’

তাহসান খান ও মিথিলা- দুজনেই নিজেদের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। তাহসান সংগীত ও অভিনয় নিয়ে কাজ করেন। মিথিলা অভিনেত্রী ও উন্নয়ন কর্মী। পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে দুজনকে একসঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার তাদের একসঙ্গে অনুষ্ঠানে দেখা গেল। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তারা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন নাভিদ মাহবুব। ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিতেই একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন তাহসান-মিথিলা।অনুষ্ঠানের শেষ দিকে একে-অপরকে নিয়ে কিছু কথা বলেন তাহসান-মিথিলা। শুরু করেন তাহসান। তিনি বলেন, ‘আমার আর তার (মিথিলা) বিচ্ছেদ হয়েছে পাঁচ বছর। সঙ্গত কারণেই আমরা একসঙ্গে কাজ করছি না। কিন্তু তারপরও আমার কোনো পোস্টে বা তার কোনো পোস্টে নেতিবাচক কথা লেখা হয় না।

‘আমরা যারা পাবলিক ফিগার, তারা কথা বলি না জন্য বিষয়টা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত। বাজে মন্তব্য করতে আসলে কোনো বীরত্ব নেই বরং নিজের হীনম্মন্যতা প্রকাশ পায়।’

মিথিলাও কণ্ঠ মেলান তাহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে এটাতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু পরে মনে হলো যে না, এখান থেকে ভালো কিছু কথা বলা যাবে। তাছাড়া ইতিবাচকতার একটি ভালো উদাহরণ তৈরি করা দরকার আমাদের।’

সন্তানের কথা উল্লেখ করে মিথিলা বলেন, ‘এই দেশে তো আমার সন্তানকেও আমার বড় করতে হবে। যত খারাপই মানুষ বলে যাক, আমি ভালোটাই বলে যাব। আমি উল্টো একটা গালি দেব না আমাকে গালি দিচ্ছে বলে।’

পুরো অনুষ্ঠানে তাহসান মিথিলাকে নিয়ে কোনো কথা না বললেও মিথিলা ছোট ছোট করে কিছু কথা বলেছেন। মিথিলা বলেন, ‘তাহসান হলো সেইসব ফার্স্ট বয়দের একজন যে সব সময় বলবে পরীক্ষায় পারি না কিছু, কিন্তু পরে নাইনটি নাইন পাবে।’

অনলাইনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইভ্যালি। যার চিফ গুডনেস অফিসারের দায়িত্বে আছেন তাহসান। আর প্রতিষ্ঠানটির ফেস অব লাইফস্টাইল হিসেবে যুক্ত হন মিথিলা।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!