নির্বাচনকালীন সরকারেও বিএনপির সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক।।
নির্বাচনকালীন সেই সরকারে বিএনপিকেও অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানায় আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি সে সময় এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ভোট বর্জনের পাশাপাশি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা চালায়। তুমুল সহিংসতার মধ্যে নিম্ন ভোটার উপস্থিতিতে সেই নির্বাচন হয়।
এরপর বিএনপি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই।
তবে এবার দশম সংসদ নির্বাচনের আগের মত নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে তারা। সরকার এবারও সেই দাবি নাকচ করছে।
এর মধ্যে হঠাৎ করেই নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে। গত ৭ মে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইতিবাচক সাড়া দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সেদিন তিনি বলেন, “কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত যদি নিতে হয়, তাহলে সংবিধানের মধ্যেই থাকতে হবে। সংবিধানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকলে আপনি যেটা বললেন, এটাতে কোনো অসুবিধা নেই।
চোখে পড়ে না? প্রেসক্লাবের সামনে, পুরানা পল্টনে, সব জায়গায় রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে, এটা চোখে পড়ে না?
“যারা এই কথাগুলো বলেছে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এটা তো নির্বাচনী প্রচার, নির্বাচনী প্রচারে এমন হতে পারে। বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে, আমি জানি এই আন্দোলন করে কোথাও থেকে লাভবান হচ্ছে।
যত পারে আন্দোলন করুক, আমার কোনো ব্যপার না। আমি আমার জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, জনগণের আস্থা বিশ্বাসই আমার একমাত্র শক্তি।”
দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্যই করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “আমার তো হারাবার কিছু নেই, বাবা মা, ভাই, সব হারিয়েছি। আমার কী আর হারাবার আছে?
আমি আমার দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যারা আমার দুর্বলতা খোঁজে, মানি লন্ডারিং করেছে তো খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। ৪৪ কোটি টাকা তো উদ্ধার করে নিয়ে আসছি।
“এখনও বিএনপির বহু নেতারা টাকা বিদেশের ব্যাংকে জমা আছে, কারও কারও টাকা ফ্রিজ করা আছে। মানি লন্ডারিং করে কারা টাকা বিদেশে নিয়ে যেয়ে বড় বড় নাম কিনেছে, সেটাও খুঁজে বের করেন আপনারা। এটা করতে তো আপনাদের দেখি না।”