২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাচারের তিন বছর পর দেশে ফিরল কিশোর কিশোরী

নিউজ ডেস্ক।।
৩ বছর পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরছেন ভারতে পাচার হওয়া ৩৭ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী।

দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে যান। ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।

জানা যায়, এসব নারী-পুরুষ ও শিশুর বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। তাদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। প্রায় তিন বছর আগে কাজের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের ভারতে পাচার করা হয়।

দেশে ফিরে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা হলেন,কুমিল্লার সাহান হাওলাদার, খুলনার আনন্দ মণ্ডল, মুস্তাফিজুর রহমান, শিমুল শেখ, আবুল হাসান ও মোস্তফা গাজী, যশোরের আয়শা শেখ, জেসমিন বিবি, রুহুল হোসেন, রাকিব শেখ, শাকিল শেখ ও শাকিব হাসান, গোপালগঞ্জের জোবায়ের সরদার, বাগেরহাটের লাবনি আক্তার, রহিমা খান, রাকিব, শাহিল ফারাজি, আবু সালে শেখ, শহিদুল, রাকিব হাওলাদার, মুন্সিগঞ্জের আরিন বাইদা, সাতক্ষীরার মাজেদা খাতুন, সুশান্ত মন্ডল, হালিমা খাতুন, ঠাকুরগাঁওয়ের নিত্যনন্দ রায়, রাজবাড়ির প্রিয় বালা, সুনামগঞ্জের আমেনা খাতুন, পিরোজপুরের মুক্তা আক্তার, নড়াইলের নিশা আক্তার, আবু বক্কর, বিদি খাতুন, রাজশাহীর রোমী খাতুন, ফরিদপুরের নারগিস খাতুন, বরিশালের জুয়েল সরদার ও কুড়িগ্রামের শাহজালাল।

জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মুহিত হোসেন জানান, সংসারে অভাব-অনটনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভালো কাজের কথা বলে এসব নারী-পুরুষ ও শিশুকে ভারতে পাচার করে দালালরা।

পরে তাদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয়। ভারতীয় পুলিশ পাচারকারীদের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে তাদের আশ্রয় হয় ভারতীয় এনজিও সংস্থার শেল্টার হোমে।

পরে উদ্ধার হওয়ারা বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই করা হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে এসব নারী-পুরুষ এবং শিশুরা আজ দেশে ফিরেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সীমান্ত পথে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হওয়া ৩৭ জন শিশু-কিশোর-কিশোরী ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরে এসেছে।

ইমিগেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হবে। সেখান থেকে তাদের তিনটি বেসরকারি এনজিও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!