২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে ফেরা যাবে আরও তিন বন্দর দিয়ে

নিউজ ডেস্ক
বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি পাশাপাশি এখন থেকে দর্শনা, হিলি ও সোনা মসজিদ বন্দর দিয়েও ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা, যা কার্যকর হবে ১৬ মে থেকে। অবশ্য দেশে প্রবেশ মাত্রই দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

যশোর ও পাশের জেলার কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে সিট নেই। ফলে ভারত থেকে ফেরা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এই চাপ কমাতে আরও তিন বন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশটি থেকে দেশে আসার সুযোগ দিচ্ছে সরকার।

বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি পাশাপাশি এখন থেকে দর্শনা, হিলি ও সোনা মসজিদ বন্দর দিয়েও ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা, যা কার্যকর হবে ১৬ মে থেকে।

সচিব পর্যায়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

তবে দেশের নাগরিকেরা যে সীমান্ত দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন, দেশে প্রবেশ মাত্রই তাদের দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট করোনার ধরন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

ভারতে করোনা মহামারি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর ২৬ এপ্রিল থেকে দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। তখন থেকে কেবল বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশের সুবিধা ছিল বাংলাদেশের নাগরিকদের।

এখন পর্যন্ত বেনাপোল দিয়ে ৩ হাজার ৭৭ জন এবং আখাউড়া দিয়ে প্রায় ১৫০ জন দেশে এসেছেন। এ ছাড়া বুড়িমারী দিয়ে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ দেশে এসেছেন।

বৈঠক সূত্র বলছে, বেনাপোল দিয়ে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবেশ করায় যশোর ও আশপাশের জেলাগুলোতে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে নতুন তিনটি বন্দর দিয়ে বাংলাদেশিরা প্রবেশ করলে ওই জেলাগুলোতে সুষ্ঠু কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা করা সম্ভব।

প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। ঈদের পর বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!