২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১৪

নিউজ ডেস্ক
যশোরে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে মারা যাওয়া মাহফুজুর রহমানকে (২০) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত ও প্রতিষ্ঠানটির সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। রোববার (২৩ মে) ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২২ মে) ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।

এরপর পরিবারের লোকজনও হত্যার অভিযোগ তোলেন। প্রাথমিক তদন্ত ও প্রতিষ্ঠানটির সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা রোববার (২৩ মে) যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।নিহত মাহফুজুর রহমান চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার নারায়নপুর মোড় এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্রের পরিচালক মাসুম করিম, আশরাফুল কবির, রিয়াদ, শাহিনুর রহমান, আরিফুজ্জামান, ওহেদুজ্জামান, রেজাউল করিম, ওহিদুল ইসলাম, আল শাহরিয়ার রোকন, ইসমাইল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, এ এস এম সাগর আজিজ, নুর ইসলাম ও অহেদুজ্জান সাগর।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) বেলাল হোসাইন বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিকসহ ১৪ জন মিলে ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। ফরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করে অজ্ঞাত মরদেহের ব্যাপারে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে ওই যুবকের স্বজনরা হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করে। এরপর তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজা মাহফুজুর রহমানকে গত ২৬ এপ্রিল মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার বিকালে খবর পায় তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজন মারপিট করে হত্যা করেছে। পরে মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে চলে গেছে। আমারা পরিবারের লোকজন এসে মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পেয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!