শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক।।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান হিমেল নিহতের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে।
এ সময় তারা উপাচার্য বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে। এছাড়াও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
নিহত মাহমুদ হাসান হিমেল চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি বগুড়া।
এদিকে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের ৫টি ট্রাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রক্টর সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বিক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুটি আবাসিক হল নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে একটি হল হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে। অন্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের পাশে।
এই দুটি হল নির্মাণ করতে বেশ কয়েকটি ট্রাকযোগে নির্মাণ সামগ্রী আনা-নেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। নিহত হিমেল মোটরসাইকেলযোগে ক্যাম্পাস থেকে হলে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নির্মাণ সামগ্রীবাহী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
দুই ঘণ্টা ওই অবস্থায় লাশ পড়ে থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।