উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন প্লাটফর্ম ডি-৮ এর সভাপতি হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ অর্জন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের স্বীকৃতি। এ অর্জন দেশের মানুষের অর্জন। শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে আরও একটি সোনালী পালক যুক্ত হলো।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রতি জনগনের আস্থা রয়েছে। আর সেটাই শেখ হাসিনা সরকারের মূল শক্তি। জনগণ ভালো করেই জানে, বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই দেশ আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধর্মের দোহাই দিয়ে, ধর্মকে ঢাল বানিয়ে জনগণের সম্পদ বিনষ্টের অপচেষ্টা আর সহ্য করা হবে না। এদেশের মুসলমানরা কোনো অপশক্তি বা ধর্মব্যবসায়ীদের কাছে তাদের ধর্ম বিশ্বাস ইজারা দেয়নি।’
আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে লন্ডনের নেতৃত্বকে খুশি করতে এবং কর্মীদের রোষাণল থেকে বাঁচতে আইসোলেশন থেকে হাঁক-ডাক ছাড়ছে বিএনপি এমন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের এসব হুমকি আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন সার। রাজনীতিকে বিএনপি জনগণের দ্বারপ্রান্ত থেকে তুলে এনে এখন আবাসিক রূপ দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনার এই সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা দলের পক্ষে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। তৃণমূলে পৌঁছে গেছে সরকারি সহায়তা। আর বিএনপি দরজা জানালা বন্ধ করে লিপ সার্ভিস দিচ্ছে আর করে যাচ্ছে কাল্পনিক অভিযোগ। যখন যে ইস্যু সামনে আসে তা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করে। পরাশ্রয়ী আন্দোলন এবং গোপন ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আরোহণের দিন শেষ হয়ে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার, সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন না হলে সরকার জনস্বার্থে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।’