১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহূর্তে বৃষ্টিতে আবারও খেলা বন্ধ

বাংলাদেশের জয়ের মাঝে ব্যবধান আর মাত্র একটি উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোস্তাফিজুর রহমান যেভাবে বোলিং করছিলেন, তাতে দ্রুতই জয় এসে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিধিবাম। আবারও বৃষ্টি নামলো মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যার ফলে শেষ মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে খেলা।

এ রিপোর্ট লেখার সময় শ্রীলঙ্কার রান ৩৮ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬। ৪ রান নিয়ে ইসুরু উদানা এবং ৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন দুশমন্তে চামিরা। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ১২১ রান। হাতে আছে আর মাত্র ১ উইকেট।

এর আগে বিকালে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় দু’বার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়েছিল। প্রথমবার ২৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলে ৭ মিনিটে ১৪ বল হওয়ার পর আবারও বৃষ্টি নামে। এরপর ৩৫ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। দ্বিতীয়বার খেলা শুরু হওয়ার পর আর বৃষ্টি নামেনি। অবশেষে একেবারে শেষ হওয়ার মুহূর্তে এসে আবার বৃষ্টি নামলো।

প্রথম ম্যাচেও বল হাতে দুর্নিবার হয়ে উঠেছিলেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার তার ঘূর্ণির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাকিব আল হাসানের অর্থোডক্স ঘূর্ণি। দুই পেসার মোস্তাফিজ আর শরিফুল যে সূচনাটা করে দিয়েছেন, সেটাকে টেনে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখাচ্ছেন মিরাজ-সাকিব।

২৪৭ রানের লক্ষ্য। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের সামনে খুব একটা সহজ লক্ষ্য নয়। তবুও দৃঢ়তা দেখানো প্রয়োজন বাংলাদেশের বোলারদেরই। সে লক্ষ্যে আপাতত বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে টাইগাররা।

দুই পেসার শরিফুল ইসলাম এবং মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বল হাতে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের সামনে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন স্পিনার সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। যার ফলে স্কোরবোর্ডে ১১৪ রান যোগ করতেই ৭টি উইকেটের পতন ঘটেছ সফরকারী লঙ্কানদের।

২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর লঙ্কানদের ২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দেন অভিষিক্ত পেসার শরিফুল ইসলাম। অধিনায়ক কুশল পেরেরাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবালের হাতে। ১৪ রান করে আউট হন পেরেরা। সে সঙ্গে অভিষেক ম্যাচে অভিষেক উইকেট নিয়ে নিলেন শরিফুল ইসলাম।

এরপর ২৯ রানের জুটি গড়েন দানুসকা গুনাথিলাকা এবং পাথুম নিশাঙ্কা। এ সময় মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন গুনাথিলাকা। ২৪ রান করে ফিরে যান তিনি।

দলীয় ৭১ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন পাথুম নিশাঙ্কা। তিনি করেন ২০ রান। উইকেট যে পড়া শুরু হলো এরপর নিয়মিত বিরতিতে পড়ছেই।

৭৭ রানের মাথায় এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে কুশল মেন্ডিসকে বিদায় করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২২ বলে ১৫ রান করেন তিনি। কুশল মেন্ডিস রিভিউ নিয়েছিলেন বাঁচার আশায়। কিন্তু আল্ট্রা এডজ করে দেখা গেলো ব্যাটে লাগেনি। বল সামনের প্যাডে আঘাত করে এবং সেটা ছিল পুরো মিডল স্ট্যাম্প বরাবর। আম্পায়ারের আঙ্গুল তুলতে কোনো দ্বিধা হয়নি।

ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও এলবিডব্লিউর শিকার হন সাকিব আল হাসানের হাতে। ২১ বলে ১০ রান করেন তিনি। ফিরে যান দলীয় ৮৯ রানের মাথায়। ১০৪ রানের মাথায় ফেরেন দাসুন সানাকা। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তিনি ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। মিডউইকেটে ক্যাচটি ধরতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি রিয়াদকে।

ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা ফিরে যান সেই মিরাজের বলেই। সরাসরি বোল্ড হয়ে। ১৪ বলে ৬ রান করেন তিনি। ১১৪ রানের মাথায় পড়ে সপ্তম উইকেট। ১১৬ রানের মাথায় ফিরে যান আসেন বান্দারা। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তিনি ক্যাচ দেন মিডউইকেটে মাহমুদউল্লাহর হাতে। ১১৬ রানে বিদায় নেয় অষ্টম উইকেট।

এরপর ৩৭তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে পতন ঘটে নবম উইকেটের। তার বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লক্ষণ সান্দাকান।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!