২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূর্যের স্পষ্ট ছবি আগে দেখেনি বিশ্ব!

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক।।
সূর্য পৃথিবীর জীবজগতসহ সবকিছু যাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত তার নাম সূর্য ৷

সূর্য পৃথিবীর জীবজগতসহ সবকিছু যাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত তার নাম সূর্য ৷ মহাকাশের এই সবচেয়ে শক্তিশালী নক্ষত্র আমাদের বিস্ময় জাগায়৷ সূর্যকে বিজ্ঞানীরা একের পর এক রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

 

এদিকে সূর্যের সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি প্রকাশ্যে এল। এর আগে কখনো এত স্পষ্ট ছবি দেখা সম্ভব হয়নি। মহাকাশ সম্পর্কিত যত চিত্র প্রকাশ পায় তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পেজ এস্ট্রোভয়েজার সূর্যের এই স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করেছে। 

তারা জানাচ্ছে, সূর্যের এই ছবি ২৩০ মেগাপিক্সেলের বেশি। তারা আরও জানায়, ব্যাক্তিগত ক্যামেরায় বিভিন্ন ফ্রেমে সূর্যের এত বেশি ছবি তোলা হয়েছে যে সৌর ক্রোমোস্ফিয়ার গুলো মোজাইকের মত স্পষ্ট আকারে প্রতিফলিত হয়েছে।  

সূর্য নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের তথ্যে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে জানাচ্ছে, মহাকাশ নিয়ন্ত্রণকারী এই নক্ষত্র হচ্ছে বৈদ্যুতিক চার্জভরা গ্যাসের বিশাল এক গোলক৷ একশ’রও বেশি পৃথিবী পাশাপাশি রাখলে সূর্যের ব্যাসের সমান মাপ ছোঁয়া সম্ভব৷

সূর্যের কেন্দ্রস্থলে হাইড্রোজেন জ্বলে হিলিয়ামে পরিণত হয়৷ সেই বিকিরণ সূর্যের উপরিভাগে আসতে এক লাখ বছরেরও বেশি সময় লাগে৷ ৬,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সেই বিকিরণ কিন্তু অপেক্ষাকৃত শীতল৷ কারণ, সূর্যের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা প্রায় ১০ লাখ ডিগ্রি!

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৪৫ কোটি বছর ধরে সূর্য আলো দিয়ে চলেছে৷ সবরকম আলোড়ন ও ক্রিয়া সত্ত্বেও সূর্য কিন্তু আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের যে কোনো সাধারণ নক্ষত্রের মতোই৷ 

হাইড্রোজেন জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে গেলে আমাদের সূর্য ফুলেফেঁপে তথাকথিত ‘লাল দৈত্যে’ পরিণত হবে৷ তার অনেক আগেই অবশ্য পৃথিবী মৃত গ্রহে পরিণত হবে৷

আদিকাল থেকেই মানুষ সূর্যের অসীম গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন৷ সূর্যই পৃথিবীতে উত্তাপ ও আলোর জোগান দেয়৷ সূর্য ছাড়া বৈচিত্র্যে ভরা জীবজগত সৃষ্টি হতো না৷

আরো দেখুন
error: Content is protected !!