সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার এক যুবক নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদ।।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে লড়ি (আন্তঃজেলা ট্রাক) চাপায় মো. হৃদয় ইসলাম (২৬) নামের বাংলাদেশি এক যুবক মারা গেছেন।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সৌদিআরবের সময় রাত ৯ টায় ও বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা ১২টায় ওই দেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত হৃদয় ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর (মিরকিল্লা পাড়া) গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
রবিবার রাত আনুমানিক ১২টায় হৃদয় ইসলামের মৃত্যুর খবর পাওয়ার থেকে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় ইসলাম সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি রেস্টুরেন্টের ফোড ডেলিভারি ম্যান ছিলেন। গত ৮ নভেম্বর (শনিবার) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে মোটরসাইকেলে করে কাস্টমারকে ফোড ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আসা দ্রুতগামী একটি লড়ি (আন্তঃজেলা ট্রাক) তাঁকে চাপা দেয়।
এতে গুরুতর আহত হয়ে সড়কে পড়ে থাকেন হৃদয় ইসলাম। স্থানীয় পুলিশ তাঁকে স্থানীয় ইমারজেন্সি কিং খালিদ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ও বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। পরে রিয়াদ থেকে সহকর্মীরা হৃদয় ইসলামের বাড়িতে মুঠোফোনে কল করে তাঁর মৃত্যুর খবর জানান।
নিহত হৃদয় ইসলামের লাশ সেখানকার একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। হৃদয় ইসলামের বাবা মজিবুর রহমান আবু বলেন, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গত ৮ মাস পূর্বে ৬-৭ লাখ টাকা ঋণ করে হৃদয় ইসলামকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিলো।
সেখানে গিয়ে হৃদয় প্রায় পাঁচ মাসের মতো কোব কাজ পায়নি, বসে ছিলো। তিনমাস পূর্বে রিয়াদের একটি রেস্টুরেন্টে ফোড ডেলিভারি ম্যানের চাকরি নেয়। সেটা আর বেশিদিন করতে পারেনি। ফোড ডেলিভারি দিতে গিয়ে লড়ি চাপায় মারা গেছে। ছেলের শোকে কাতর মজিবুর রহমান আবু বলেন, দ্রুততম সময়ে সরকারি খরচে যেন আমার ছেলের লাশটি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় দুদেশের সরকারের কাছে এই দাবি জানাই।
দুলালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান রিপন ভূইয়া বলেন, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হৃদয় ইসলামের লাশ দেশে আনার বিষয়ে তার পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তার লাশটি যেন সরকারি খরচে পরিবারের কাছে পৌঁছে সে বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কাজ করবে।