২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘স্যার, ফিনিশ।’ কুপিয়ে হত্যার পর সাবেক এমপিকে খুনির ফোন

নিউজ ডেস্ক
পল্লবীতে আলীনগর হাউজিং প্রকল্পে জমি না দেওয়ায় শাহিন উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করার পর সন্ত্রাসী সুমন সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে ফোন করে জানান,

পল্লবীতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল (মাঝে) এবং তার দুই পাশে দুই কিলার হাসান ও বাবু
‘স্যার, ফিনিশ’। এই হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর এম এ আউয়ালকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি দরগা শরিফ থেকে র‌্যাব গ্রেফতার করে। র্যাবের দাবি, শাহিন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক এই এমপি।

হত্যার আগে তার কলাবাগানের অফিসে পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনা বৈঠকে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া তিন সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে র্যাব চাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে হাসান (১৯) ও পটুয়াখালী থেকে জহিরুল ইসলাম বাবুকে (২৭) গ্রেফতার করে।

অপরদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় কিলার গ্রুপের প্রধান নেতা সুমন ও রকি তালুকদারকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। এর আগে এই হত্যাকাণ্ডে পল্লবী থানা পুলিশ মনিরকে গ্রেফতার করে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন কিলিং মিশনের যাবতীয় তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘আলীনগর হাউজিং প্রকল্পে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে শাহিন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এক বিঘার বেশি পরিমাণ জমি কেনার চেষ্টা করছিল সাবেক এমপি আউয়ালের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হ্যাভিলি প্রপার্টি। নিহত শাহিন ও তার স্বজনরা ঐ জমির মালিক। কম টাকায় জমি কিনতে না পারার কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে শাহিনকে তারা টার্গেট করে আসছিল। দুই মাস আগেও আউয়ালের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা শাহিনের ওপর হামলা করেছিল। ঐ সময় তার মাথায় কোপ দেওয়া হয়। এমনকি কোপানোর পরও উলটা শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে জেলে পাঠায় আউয়াল বাহিনী। গত ঈদের কয়েক দিন আগে শাহিন ঐ মামলায় জেল থেকে জামিনে বের হন। আর ঈদের দুই দিন পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।’

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘১৬ মে দুপুরে নিজ সন্তানের সামনে শাহিন উদ্দিনকে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ১৯ মে চাঁদপুর থেকে হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। ২০ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়ালকে ভৈরবে তার একটি দরগা শরিফ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফল থেকে ১৯ নম্বর আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে র্যাবের আরেকটি দল। তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’

আরো দেখুন
error: Content is protected !!