হাসপাতাল থেকে পালানো সেই ১০ করোনা রোগীকে ধরেছে পুলিশ
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ জন করোনা রোগীকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ভারতফেরত রয়েছেন সাতজন। তাদের সবাইকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া রোগীদের পাওয়া গেছে। তাদের আবারও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ১০ জন করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি হন। এদের মধ্যে সাতজন ভারতফেরত ছিলেন। তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পালিয়ে যাওয়া রোগীরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার পাঁচপাবাড়িয়া গ্রামের রবিউলের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০), যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার বিশ্বনাথের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজপাড়ার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার সোনতলা গ্রামের মনোতোষ সর্দারের স্ত্রী শেফালী রাণী (৪০), খুলনার পাইকগাছার ভামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনার রূপসা চল এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭), খুলনা মহানগরের বিকে পূর্ব লেন এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকান্দ সরকার ও রাজবাড়ি সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা আক্তার। এদের মধ্যে মনিমালা, মিলন হোসেন, শেফালি রানী, আমিরুল সানা, সোহেল সরদার, বিবেকানন্দ সরকার ও নাসিমা আক্তার ভারতফেরত।
করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত একজন সিনিয়র নার্স জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা দশজন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু রোববার সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানান, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে না বলে চলে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ভেরিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘পুলিশ তাদের খুঁজে পেয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তাদের আবারও ভর্তি করা হবে। শয্যা প্রস্তুত রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘করোনা ওয়ার্ডে নার্স ও চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে নিরাপত্তাকর্মী ছিল না। গেট তালাবদ্ধ করা হয়নি। এজন্য রোগীরা চলে যেতে পেরেছে। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা নেই। তবে তালাবদ্ধ রাখলে এভাবে চলে যেতে পারত না। যারা আক্রান্ত তাদের বেশি সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’