১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮৫ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের ৮৫টি দেশে করোনা ভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্ব জুড়ে তাণ্ডব চালাতে পারে। ইতিমধ্যেই ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইংল্যান্ডে এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে এক ধাক্কায় সংক্রমণ বেড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ২২ জুন ডব্লিউএইচও-এর প্রকাশিত কোভিড-১৯ সাপ্তাহিক এপিডেমিওলজিক্যাল আপডেটে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ১৭০টি দেশ বা অঞ্চলে করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্ট, ১১৯টি দেশে বেটা ভ্যারিয়েন্ট, ৭১টি দেশে গামা ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮৫টি দেশে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ডেলটা—যা এখন বিশ্বব্যাপী ৮৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এবং নতুন করে অন্যান্য দেশেও রিপোর্ট করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ১১টি দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট।

ডব্লিউএইচও বলেছে, বর্তমান চারটি ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এগুলো হলো—আলফা, বেটা, গামা এবং ডেলটা। সংস্থাটি আরো বলেছে, এর মধ্যে আলফা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। যেভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ভবিষ্যতে ‘প্রভাবশালী’ ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) বলেছে, আগামী আগস্টে ইউরোপের দেশগুলোতে আক্রান্তের ৯০ শতাংশের কারণ হতে পারে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে করোনার আরো শক্তিশালী রূপ আসার সম্ভাবনা কম। বর্তমানে ভারতে যে ডেলটা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, এটি আসলে ডেলটা পরিবারেরই সদস্য বলে মনে করছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আলাদা ভ্যারিয়েন্ট হতে গেলে স্পাইক প্রোটিনে যতটা পরিবর্তন হওয়ার দরকার ডেলটা প্লাসে তা দেখা যাচ্ছে না।এদিকে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ হাজার ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন আরো ১ হাজার ৩২১ জন। বৃহস্পতিবার শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় ৩ হাজার ২২১টি বেড়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস ইনফোর হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৪ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে, ৩৯ লাখ সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষের। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। যদিও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!