১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশ্রয়ণ প্রকল্পে কোরবানির মাংস

👁️নিউজ ডেস্ক ✒️
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘মেঘনা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য দুটি খাসি কোরবানি দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য উপজেলাগুলোর আশ্রয়ণ প্রকল্পে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সমন্বয় করে কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন।’শুধু নতুন ঘর নয়, কুমিল্লায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা এবার পেয়েছেন কোরবানির মাংস।

কয়েকটি প্রকল্পে দেয়া হয়েছে কোরবানি, বাকিগুলোতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পৌঁছেছে মাংস।সকালে কোরবানির শেষে দুপুরে মাংস, পোলাও পেটপুরে খেয়েছে সবাই। ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন তারা।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া সিদ্দিকা জানান, ব্রাহ্মনপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৭টি পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুটি খাসি কোরবানি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসে বাসিন্দাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাদের সার্বিক খোঁজ নেন তিনি।

ব্রাহ্মণপাড়া আশ্রয়ণের আয়েশা বেগম বলেন, ‘ঈদে কোরবানির পর মাংস-পোলাও খেয়ে খুব ভাল্লাগছে। প্রধানমন্ত্রী ঘর দিছে, ঈদের সময় চাউল, ডাউল, তেল দিছে। আইজ খাসিও কোরবানি দিল। আল্লা প্রধানমন্ত্রীরে বাঁচাইয়া রাহুক।’

আদর্শ সদর উপজেলার ইউএনও জাকিয়া আফরিন জানান, সদরের আশ্রয়ণের ১৯টি পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুটি খাসি কোরবানি দেয়া হয়। পরে সেখানে পোলাও রান্না করা হয়।

দেবিদ্বার উপজেলার ইউএনও রাকিব হাসান জানান, কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুল উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য দুটি গরু কোরবানির জন্য পাঠিয়েছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৭টি উপজেলার ৫০৯টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে উপজেলাগুলোতে এই উপহার দেয়া হয়।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘মেঘনা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য দুটি খাসি কোরবানি দেয়া হয়। এছাড়া অন্য উপজেলাগুলোর আশ্রয়ণ প্রকল্পে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সমন্বয় করে কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ২০ কেজি মিষ্টিও বিতরণ করেছি।’

জেলা প্রশাসক জানান, ঈদের আগেই জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের চাল, ডাল, চিনি, লবণ, সেমাই, তেল, দুধ, মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!